এক কক্ষই যথেষ্ট, দুই কক্ষ চাঁদাবাজির কক্ষ হবে: ব্যারিস্টার ফুয়াদ

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ | ছবি: এখন টিভি
1

দুইটা সংসদ ফাংশনাল করলে এটি চাঁদাবাজি ও পুনর্বাসনের কক্ষে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। আজ (শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মানিকগঞ্জ শহরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণে আয়োজিত জুলাই গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি দুই কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ চাইলেও আমাদের দল এক কক্ষকেই কার্যকর মনে করে। গত ৫৩ বছরে এ রাষ্ট্র একটি সংসদই ফাংশনাল করতে পারেনি। সেখানে দুইটা সংসদ ফাংশনাল করা সম্ভব নয়। বরং এটি চাঁদাবাজি ও পুনর্বাসনের কক্ষে পরিণত হবে।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘তারপর সব দল যদি দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ চায়; তাহলে আমরাও তা মেনে নেবো। তবে, আমাদের প্রস্তাব হলো মিশ্র পদ্ধতি। অর্থাৎ ৩০০ আসনের মধ্যে ২০০ আসন থাকবে বর্তমান পদ্ধতিতে, আর বাকি ১০০ আসন হবে পিআর সিস্টেমে।’

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশের রাজনীতিতে কে ছোটলোকের ছেলে আর কে বড়লোকের ছেলে, কে গুলশান-বনানীকে বড় হয়েছে আর কে বস্তিতে বড় হয়েছে সেটা কোন গ্রহণযোগ্য মাপকাঠি হবে না। ৫৩ বছর পরে এসে কেউ মাদ্রাসার দাড়িওয়ালা, টুপিওয়ালা মানুষদেরকে ধরে নিয়ে রাতের বেলায় জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হাজার হাজার খুন করে লাশ গুম ও পানিতে ফেলা সেই বাংলাদেশ আমরা আর ফেরত আনতে দিবো না। গণতন্ত্রের মূল্যবোধ মেনে এই বাংলাদেশে যে কোন ব্যক্তি বা দল যেকোনো নামে রাজনীতি করতে পারবেন।’

আরও পড়ুন:

তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রের মূল্যবোধ মেনে সবাই সবার সমালোচনা করতে পারবেন। যুক্তি-তর্ক দিয়ে প্রতিপক্ষকে হারাতে হবে। কিন্তু তার বাইরে গিয়ে আওয়ামী লীগের মত কাউকে অপদস্থ ও হেয় করে রাজনীতি করা সেটা আমরা চাই না। আমরা গণতন্ত্রের রাজনীতি দেখতে চাই। সব রাজনৈতিক দল গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলো মেনে আমরা সেই বাংলাদেশ গড়বো। সেই বাংলাদেশটা গড়তে হবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে।’

আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘এস আলমের টাকা শুধু শেখ হাসিনা খায় না। বর্তমানের দেশের অনেক রাজনৈতিক দলের নেতারা এস আলমের টাকায় ব্যবসা করছে ও খাচ্ছেন। ওই টাকায় বিদেশে তাদের ছেলে মেয়েদের পড়াচ্ছেন। এ জায়গায় মাথায় রাখতে হবে ১৭৫৭ সালে ২৩ জুন কিভাবে স্বাধীন নবাবের পতন ঘটেছিল। কারা কারা আজ আমার আপনার মধ্যে বাস করে মীর জাফর, উমিচাঁদ, ঘোষেটি বেগম ও জগৎশেটের মত কাজ করছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে।’

ফুয়াদ বলেন, ‘আগামীতে কারা কারা আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে চায়, জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন আনতে চায়, এস এ আলমের টাকায় আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায় ও ১৪শ শহিদের রক্তের সাথে গাদ্দারী করতে চায়; সেই গাদ্দারদের চিনতে হবে। আমাদের মোদ্দা কথা হচ্ছে বাংলাদেশ স্বার্থে শত্রুপক্ষের সঙ্গে কোন আপোষ হবে না। দিল্লির আধিপত্য প্রশ্নে কোন আপোষ হবে না। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের স্বার্থে আমরা কোন ছাড় দেব না।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মানিকগঞ্জ জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম জনি। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আব্বাস ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক সেলিম খান প্রমুখ।

ইএ