ভরা মৌসুমে লাভ না পেয়ে হতাশ ফরিদপুরের পাট চাষি

পাট পরিমাপ করা হচ্ছে
পাট পরিমাপ করা হচ্ছে | ছবি: এখন টিভি
0

ফরিদপুরের বিভিন্ন হাট বাজারে উঠতে শুরু করেছে পাট। সংসারের দৈনন্দিন খরচ মেটাতে উৎপাদিত পণ্য নিয়ে আসছেন চাষিরা। বিভিন্ন বাজারে ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে সোনালী আঁশ। তবে ভরা মৌসুমে ভালো লাভ না পেয়ে মলিন চাষিদের মুখ। তারা বলছেন, শুরুতেই চড়া দামে ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে পাট খেতে পরিচর্যা করা হয়েছে, শ্রমিকের বেতনও ছিলো বেশি। এতে বেড়েছে উৎপাদন খরচ।

ফরিদপুরের সালথা, নগরকান্দা, বোয়ালমারীসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রতিটি হাটেই উঠতে শুরু করেছে পাট। জেলার সালথা ও নগরকান্দায় সপ্তাহে দুইদিন বসে বাজার। এখানে প্রান্তিক চাষিরা তাদের উৎপাদিত পাট নিয়ে আসে বিক্রির জন্য। এখানে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন পাট কল কর্তৃপক্ষের ক্রয়ের সেন্টার রয়েছে। এখান থেকে উৎপাদিত পাট যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জুট মিলে।

বাজারে উৎপাদন মৌসুমে হাটপ্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার মণ পাট কেনাবেচা হয়। বর্তমানে পাটের এ বাজারগুলোতে দর রয়েছে প্রকারভেদে ৩ হাজার ৮ থেকে ৪ হাজার ২ টাকা।

আরও পড়ুন:

বাজারের পাট নিয়ে আসা চাষি ও ক্রেতারা জানান, ঢাকা, বরিশাল, খুলনা সবজায়গাতেই এ পাটগুলো যায়। পাটের দাম আরও বেশি হলে তারা লাভবান হবেন বলে জানান চাষিরা।

অন্যদিকে পাটের বর্তমান বাজার দর আগের চেয়ে অনেকটাই বাড়তি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘গতবছর পাটের এ মৌসুমে পাটের বাজার ছিলো ২ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। সেখানে এবছর বাজারে প্রায় পাটের দাম ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকা। আমার মনে হয় উৎপাদন একটু কম হলেও কৃষকদের উৎপাদন খরচ উঠে আসবে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় ৮৬ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টন

এফএস