২৬ ফেব্রুয়ারি, আত্মপ্রকাশ ঘটে চব্বিশের অভ্যুত্থানের সামনের সারির ছাত্রনেতাদের নিয়ে গঠিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের। 'স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট' এই স্লোগানে যাত্রা শুরু করলেও শুরুর দিনেই, সংগঠনটি সংবাদের শিরোনাম হয় সমর্থকদের দুই পক্ষের হাতাহাতির কারণে।
৭ মাস ঢিমেতালে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোর পর আসে ডাকসুসহ বিভিন্ন ছাত্র সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে হল সংসদ পর্যায়ে কিছুটা সফলতা পেলেও কেন্দ্রীয় সংসদগুলোতে ঘটে ভরাডুবি। এমন ফলাফলের কারণ হিসেবে সংগঠনের ভিতরে ছদ্মবেশী পদধারীর উপস্থিতির কথা জানাচ্ছেন বর্তমান কর্ণধার। আর সমাধান হিসেবে এখনই সংগঠনের অবয়ব বদলানোকেই অবধারিত গন্তব্য হিসেবে নিচ্ছেন তারা।
বাগছাসের সদস্য সচিব জাহিদ আহসান বলেন, ‘অনেকে এসেছেন নানারকম এজেন্ডা নিয়ে। যারা এসেছেন ভিন্ন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদকে ব্যবহার করতে তাদের এখানে একটি পুনর্গঠনের ব্যাপার আছে। একইসঙ্গে আমাদের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠন করতে চাই। আমরা ছাত্রসংসদ নির্বাচনের ফলাফলগুলো মূল্যায়ন করতে চাই আবারো।’
দল পুনর্গঠনে বাদ পড়বেন বিতর্কিতরা। শীঘ্রই সম্মেলনের মাধ্যমে আসবে নতুন কমিটি। আর সেখানে দল পেতে পারে নতুন নাম।
আরও পড়ুন:
বাগছাসের সদস্য সচিব জাহিদ আহসান বলেন, ‘মুশকিল হচ্ছে অনেক ব্যক্তিরা আমাদের সংগঠনে এসে অন্য সংগঠনের পারপাস সার্ভ করেছে। সংগঠনের কিছু কঠিন সময়ে তারা আমাদের সহযোগিতার বদলে চরম অসহযোগিতা করেছে। সুতরাং এ ব্যাপারগুলো নিয়ে আমাদের অবশ্যই কাজ করতে হবে।’
বাগছাসের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘নামের ট্যাগলাইন বা যেকোনো আকারেই বলি না কেন অনেকেই আমরা দেখেছি যে এ নামটি ভালোভাবে পছন্দ করেনি। সেক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের মধ্যে একটা আলোচনা চলমান রয়েছে।’
কাগজে কলমে মধুর ক্যান্টিনকে দলীয় কার্যালয় হিসেবে পরিচয় দিলেও এনসিপির কার্যালয়ে নিয়মিত সভা করতে দেখা গেছে বাগছাস নেতাদের। তবে, এবার আর লুকোচুরি নয়, এনসিপি-বাগছাসের সম্পর্ক খোলাসা করবেন তারা।
আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘আমরা এনসিপির সঙ্গে আদর্শিকভাবে এক এটা আমরা এরইমধ্যে অনেক জায়গায় বলেছি। আমরা যদি কাজ করি তাহলে আদর্শিক জায়গা ঠিক রেখেই কাজ করবো। সবকিছু এখনো আলোচনাধীন আছে। এখানে আমাদের যে টপ এইট আমরা করেছি টপ এইট না হয়ে সেটা টপ ফোরও হতে পারে।’
তবে, সব সিদ্ধান্তে জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির কাছ থেকে পরামর্শ শুনবেন বলেও জানান বাগছাস কর্ণধাররা।





