নওগাঁর মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে সোনালী আউশ ধান। মৌসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টি, পরে অতিবৃষ্টি আর কোথাও পোকার আক্রমণে ধানের ফলন হয়েছে কম। তবুও ধান কাটতে ব্যস্ত চাষিরা। এরইমধ্যে ৫০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে।
কৃষকরা জানান চলতি বছরে উৎপাদন খরচ বাড়ায় বিঘা প্রতি খরচ বেড়েছে অন্তত দেড় হাজার টাকা। জমি রোপণ থেকে ধান কাটা পর্যন্ত আবাদ খরচ হয় বিঘাপ্রতি প্রায় ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ফলন হচ্ছে ১২ থেকে ১৬ মন। বাজারে প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকায়। ধানের দাম কম হওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, ফলনে আসছে প্রায় ১৩ থেকে ১৬ মণ ধান। এ ধান কাটার পর আবার আমন ধান আসবে। গতবারের চেয়ে এবার ধানের ফলন এবং দাম দুটোই কম। ধানের দাম অনুযায়ী কৃষকের পোষায় না বরং লস হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা।
আরও পড়ুন:
এদিকে বেড়েছে শ্রমিকের মজুরিও। এক বিঘা জমিতে খরচ হচ্ছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। আবার কোথায় মজুরি হিসেবে বিঘাতে ৩ মন ধান নিচ্ছেন শ্রমিকরা।
এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৫ হেক্টর বেশি জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। এছাড়া চলতি বছর ৪০ হাজার কৃষককে বীজ ও সার প্রণোদনা দেয় কৃষি বিভাগ।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘যে জমিগুলো বেশি পানিতে আছে সেগুলোতে হয়তো ফসল একটু কম হতে পারে। তাছাড়া ফলন ভালো এবং কৃষক দাম ভালো পেয়েছে। তারা আউশটা কাটার পরে আমনের আবাদ শুরু করবে, মাঝখানে তারা এত ফসল পাচ্ছে এজন্য তারা এত খুশি।’
জেলায় এবার প্রায় ২ লাখ ৮১ হাজার টন ধান উৎপাদনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। যার বাজার মূল্য ৭ শ’ কোটি টাকারও বেশি।





