শেরপুরে এখন পাট কাটার ধুম। জেলার বিভিন্ন জলাশয়ে চলছে পাট জাগ, আঁশ ছড়ানো, শুকানো ও পাটকাঠি সংগ্রহ। সোনালী আশেঁ রং বদলাচ্ছে গ্রামীণ জনপদ। শ্রাবণ ধারার সঙ্গে মিতালী করে গ্রামীণ জনপদে কৃষাণ-কৃষাণীরা মেতে উঠেছেন পাট উৎসবে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্য বলছে, এক দশক আগেও জেলায় পাটের আবাদি জমি ছিলো চলতি বছরের প্রায় অর্ধেক। চলতি বছরে ১ হাজার ৮৯৪ হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৯১১ হেক্টর। উৎপাদন হয়েছে ৬ হাজার টন। যার বাজার মূল্য প্রায় ৭০ কোটি টাকা।
বিঘা প্রতি পাটের গড় ফলন হয় ১০ থেকে ১২ মণ। খরচ বাদে মুনাফা থাকে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এছাড়াও পাটখড়ির আঁটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন তারা।
কৃষকরা বলছেন, পাটের দাম না কমাতে সরকারের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। তা না হলে কৃষকের আগ্রহ কমার পাশাপাশি পাটের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হবেন তারা।
পাট চাষিরা জানান, খুচরা পাইকারি বিক্রেতারা বিভিন্ন জায়গা থেকে কম মূল্যে কিনে বড় মহাজনদের কাছে বেশি মূল্যে বিক্রি করে। ফলে তারা ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
দেশে বাড়ছে পাটের বহুমুখী ব্যবহার। সঙ্গে বাড়ছে পাটের চাহিদা। পাট জাগসহ নানা বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিতে মাঠে রয়েছে কৃষি কর্মকর্তারা।
শেরপুর উপ-পরিচালক জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘পাট কাটা শুরু হয়েছে। ফলন তুলনামূলক ভালো হয়েছে। কৃষকরা কোনো ধরণের বিড়ম্বনার শিকার হলে, আমরা তাদের পরামর্শ দিচ্ছি।’
চলতি বছর পাটের চাষ বাড়াতে প্রায় ৭ হাজার কৃষকের মধ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ১ কেজি করে পাট বীজ ও ১২ কেজি করে রাসায়নিক সার দিয়েছে পাট অধিদপ্তর।





