একইসাথে আওয়ামী লীগের বিচারের বিষয় এবং জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা চললে সরকারের গদি নাড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জুলাই ঐক্যের সদস্যরা বলেন, সরকার এখনো পর্যন্ত শহীদদের নির্দিষ্ট সংখ্যার তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি।
তাদের দাবি জুলাই ঘোষণাপত্রে শহীদের সংখ্যা সংযুক্ত করতে হবে। এ লক্ষ্যে জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে সরকারকে বিপ্লবী ঘোষণা পত্রের প্রস্তাবনা দেওয়া হবে বলেও জানান তারা। তিন দফা দাবি আদায়ে সরকারের পরবর্তী কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানান জুলাই ঐক্যের সদস্যরা।
এ সময় চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবীও জানান তারা। সদস্যরা বলেন, যে সমস্ত দল বিগত সময়ে বিভিন্ন অপকর্মে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার দায় আওয়ামী লীগ এর শরিক ১৪ দলকেও নিতে হবে।
সম্মেলনে জুলাই ঐক্যের সংগঠকদের একমতের ওপর ভিত্তি করে কিছু সিদ্ধান্তের বিষয় লিখিতভাবে জানানো হয়। এগুলো হলো- জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে বিপ্লবী জুলাই ঘোষণাপত্র সরকারের কাছে প্রস্তাব করবে; সারা বাংলাদেশে জুলাইয়ের স্পিরিটি ধারণকারী সকল সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করবে; ৩ দফা দাবি পূরণে সরকারের পদক্ষেপগুলোকে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত ফ্যাসিবাদের দোসরদের ব্যাপারে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানানো। অন্যথায় জুলাই ঐক্য থেকে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
