সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—শামসুদ্দোহা শিমুলের (৪৮) স্ত্রী সায়মা সুলতানা, সন্তান আলিফ আল দোহা, আনিশা বিনতে দোহা ও তার ভাগনে এবং মামলার বাদী রিয়াদ ইসলাম নাঈম।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, তারা বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসি) অভিযোগ এবং থানায় মামলা করে প্রতিকার পাননি। মামলার অগ্রগতি নেই। সে কারণে সংবাদ সম্মেলন করে বিচার চাইছেন।
স্ত্রী সায়মা সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের পরিবারের একমাত্র সহায়ককে অপচিকিৎসায় হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কর্পোরেট সেক্টরের একজন আইকনকে হত্যা করেছে তারা। তিনি এসিআই লজিস্টিকের পরিচালক ছিলেন, সেই সাথে ছিলেন মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক। আমরা চাই, এ ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করে সমাধান করা হোক। প্রতিবার এরকম ঘটনা ঘটিয়ে প্রভাব খাটিয়ে পার পেয়ে যায় জড়িতরা, দেশটা তো মগের মুল্লুক হয়ে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য গত ২১ আগস্ট রাতে রাজধানীর গ্রিন রোডের কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও নার্সিং হোমে নাকের অস্ত্রোপচারের সময় অধ্যাপক ডা. জাহের আল-আমিন এবং অ্যানেস্থেসিয়োলজিস্ট ইফতেখায়রুল কাওসারের তত্ত্বাবধানে শামসুদ্দোহা শিমুলের মৃত্যু ঘটে।
অপারেশন থিয়েটারেই তিনি মারা যান। এটি একটি চরম অবহেলা ও অপচিকিৎসার নির্মম পরিণতি বলে দাবি করে তার পরিবার ও স্বজনরা। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন তারা।
সায়মা সুলতানা বলেন, ‘অপারেশনের সময় যথাযথ জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামের অভাব, সময়মত রোগীর পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য গোপন, অপারেশন থিয়েটারে প্রস্তুতির ঘাটতি এবং রোগীর মৃত্যুর পর সংশ্লিষ্ট ডাক্তারদের পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা এসব বিষয়সমূহের ভিত্তিতে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, এটি একটি অবহেলা এবং অপচিকিৎসাজনিত মৃত্যু।’
এ সময় তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসকসহ দায়িত্বরতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি করেন।





