৪৪ বছর বয়সী ভারতীয় নাগরিকের নাম বিজলী কুমার রায়। তার বাড়ি ভারতের মোজাফফরপুর জেলার মিনাপুর থানার চাক জামাল গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত টুনা রায়।
সোনা মসজিদ ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে গত ২০২১ সালের ২৪ জুন অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার পুলিশ বিজলী কুমার রায়কে আটক করে। পরে তাকে শরীয়তপুর কারাগার থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভর্তি হয়।
গত ১৫ জানুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত দুইমাস ধরে হাসপাতালে পড়ে ছিল মরদেহ। বাঙালির বজরঙ্গি ভাইজান শামসুল হুদা খোঁজ খবর নিয়ে ভারতে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে পরিবারের কাছে বিজলী কুমার রায়ের মরদেহ পাঠানোর চেষ্টা করেন।
শামসুল হুদা মূলত সীমান্তে হারিয়ে যাওয়া কিংবা সীমান্ত পেরিয়ে কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেন।
বাঙালির বজরঙ্গি ভাইজান শামসুল হুদা বলেন, 'আমি নিজ ইচ্ছে থেকেই সীমান্তে নিখোঁজ কিংবা সীমান্ত পেরিয়ে কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। সে চেষ্টা থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া ভারতীয় নাগরিকের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে আজকে মরদেহ হস্তান্তর করা হলো।'
তিনি বলেন, 'এখন পর্যন্ত মোট ৫৯ টি সীমান্তের বিভিন্ন সমস্য নিয়ে কাজ করছি। এর মধ্যে ৪৩ টি সমস্যার সমাধান হয়েছে। আর ভারতে থাকা দুই নারীকে জীবিত উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।'
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) গোলাম কিবরিয়া বলেন, 'শুক্রবার বিকেলে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সোনামসজিদ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সোনা মসজিদ সীমান্ত দিয়ে উভয় দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে মৃতের ছোট ভাই বদ্রী রায়ের কাছে সোনা মসজিদ শূন্যরেখায় লাশটি হস্তান্তর করা হয়েছে।'