ইপিজেড তৈরিতে আমিরাতকে নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস সচিব

0

টেসলার প্রধান নির্বাহী ও মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সাথে ফোনালাপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার রাত নয়টায় এই ফোনালাপ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তবে আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। এদিকে, দুবাইয়ে একাধিক বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। এসব বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নসহ বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে ইপিজেড করার বিষয়ে আমিরাতের প্রস্তাবে নীতিগত সম্মতি জানিয়েছেন ড. ইউনূস।

বাংলাদেশে ইপিজেড করতে চায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়েছেন। এতে দেশে বিনিয়োগ বাড়ার পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থান আশা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে দুবাইয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘আপনারা জানেন যারা বাংলাদেশের বাইরে যারা কাজ করেন তাদের জন্য ইউএই একটা বড় জায়গা। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লোকজন আসলেও বাংলাদেশ থেকে কমছিল। তো আমরা এ বিষয়ে প্রফেসর ইউনূস উদ্যোগ নিয়েছেন।’

প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টার এই সফরের মাধ্যমে বৃহৎ এই শ্রমবাজারের সঙ্গে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। এসময় ড. ইউনূসের সঙ্গে টেসলার প্রধান নির্বাহী ও মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সাথে ফোনালাপ হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের কাছে অনেকে প্রশ্ন করেছে প্রফেসর ইউনূসের সাথে ইলোন মাস্কের কথা হয়েছে কি না। হ্যা কথা হয়েছে। তবে পরে আমরা এ বিষয়ে আপনাদের আরো বিস্তারিত জানাবো। তবে এটুকু জানাতে পারি আলোচনা হয়েছে।’

এর আগে দুবাইয়ের একটি হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। সরকারি খরচে প্রবাসীদের মরদেহ দেশে নেয়া, বিমান ভাড়া কমানো, পাসপোর্ট ও জন্মসনদের সেবা আরো সহজ করাসহ ভোটাধিকারের বিষয় তুলে ধরেন প্রবাসীরা।

এসময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম. তৌহিদ হোসেন প্রবাসীদের মরদেহ দেশে ফেরানো ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয় বহনের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। দুইদিনের সফরে আমিরাতে গিয়ে বৃহস্পতিবার বিশ্ব সরকার সম্মেলনে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

এএইচ

আরও পড়ুন:
এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর
No Article Found!