বাংলাদেশ থেকে গত বছর ৮৫ হাজারেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পবিত্র হজ পালন করতে মক্কায় যান। হজযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকারের নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও প্রতিবছরই শেষ মুহূর্তে দেখা যায় নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা।
এবছর হজ পালনে বিশৃঙ্খলা এড়াতে ও সৌদি সরকারের নিয়মের মধ্যে হজ পালনে শুরু থেকে তাগিদ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সরকারের সেই উদ্যোগের অগ্রগতি জানাতে আজ দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম খালিদ হোসেন।
ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এজেন্সিগুলোকে অবশ্যই সবধরনের চুক্তি সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। এসময় তিনি বলেন, এজেন্সির কারণে কোন মুসল্লি হজ পালন করতে না পারলে মন্ত্রণালয় কোন দায় নেবে না।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘চুক্তি সম্পাদনের গতি খুবই স্লো। অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে চুক্তির অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। শেষ তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি যা কোনোভাবেই সময় বাড়ানো হবে না।’
বিমানভাড়া কমানোর ইস্যুতে উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশে ভাড়া অনেকটাই কম। তবে আগামীতে সৌদি সরকার অনুমোদন দিলে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকেও যুক্ত করার চেষ্টা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশের প্যাকেজ কোনোভাবেই বেশি না।’
ওমরাহ'র টিকিট নিয়ে সিন্ডিকেটে কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে ১৩ সদস্যের টাস্কফোর্স করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান ধর্ম উপদেষ্টা।
ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘এজেন্সির সংখ্যা কমানোর ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করছে সরকার।’
আগামীতে হজযাত্রীর সংখ্যা বিবেচনা করে এজেন্সি অনুমোদনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন ধর্ম উপদেষ্টা।