’২৪ এর গণঅভ্যুত্থান কিংবা জুলাই বিপ্লব। যারা বিপ্লবের কেন্দ্রে ছিলেন তাদের দাবি, মুজিববাদী সংবিধানের বিলুপ্তি করে নতুন এক বাংলাদেশের দালিলিকপত্র। অনেকটা বিলম্বিত হলেও গত ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চেয়েছিল ছাত্র-জনতা। কিন্তু সরকারের আশ্বাসে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে সরে আসেন তারা। আল্টিমেটামের সময় শেষ হওয়ার একদিন পর রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আবারো সর্বদলীয় বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা।
আজকের বৈঠকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল নেতৃত্বে দলটির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নিলেও বিএনপির পক্ষে অংশ নেন শুধু দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ। সূচনা বক্তব্যে আবারো ঐক্যের ডাক দেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, 'একতাতেই আমাদের জন্ম, একতাতেই আমাদের শক্তি। এই অন্তর্বর্তী সরকারের জন্ম হয়েছে ঐক্যের মাধ্যমে, আপনাদের সবাইকে পাশে দেখলে আমরা শক্তি পাই, আপনাদের ছাড়া আমরা দুর্বল বোধ করি। সব রাজনৈতিক দলের সমর্থন ও ঐক্যবদ্ধভাবে জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে না পারলে এটি শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য হবে না, উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে না। আমি যতদিন অন্তর্বর্তী সরকারে থাকবো, ততোদিন সবাইকে নিয়ে একতাবদ্ধভাবেই থাকবো।'
বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করে ঘোষণাপত্র তৈরি করবে সরকার। তবে কালক্ষেপণ করা হবে না।
তিনি বলেন, ‘ঘোষণাপত্র নিয়ে সবাই একমত। তবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের জন্য সময় প্রয়োজন।’
ঘোষণাপত্র নিয়ে যেন রাজনৈতিক ঐক্যের ফাটল তৈরি না হয় মন্তব্য করে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্য ধরে রেখে রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'ঘোষণাপত্র নিয়ে যেন রাজনৈতিক ঐক্যের ফাটল তৈরি না হয়। ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্য ধরে রেখে রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে আমাদের।'
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ঘোষণাপত্র নিয়ে সবাই একমত। তবে এটা নিয়ে তাড়াহুড়া কিংবা বিলম্ব কোনোটাই চায় না জামায়াত।’
তিনি বলেন, 'ঘোষণাপত্র নিয়ে সবাই একমত। তবে রাজনৈতিক ঐক্যমত্যের জন্য সময় প্রয়োজন। কিন্তু বেশি বিলম্বিত করাও কাম্য নয়।'
রাজনৈতিক ঐক্যমত্যের জন্য যে সময় প্রয়োজন। ঠিক ততটুকু সময় নিয়ে ঘোষণাপত্র প্রকাশের বিষয় একমত হয়েছেন অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও। তারা বলছেন, শুধু ঘোষণাপত্রই নয় বিচার করতে হবে জুলাই গণহত্যার।