জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে দেশের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠার ৪ বছর পর নেতৃত্ব নির্বাচনের আয়োজন আমার বাংলাদেশ পার্টির।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্যমণি ছিল জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা। নতুন বাংলাদেশের সারথিদের কণ্ঠে শোনা গেলো আওয়ামী লীগের বিচার ও নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন।
সুশৃঙ্খল এই আয়োজনে অতিথি হয়ে আসেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা। অতিথির বক্তব্যে রাজনৈতিক নেতারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নতুন বাংলাদেশের গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বক্তব্যে উঠে আসে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার প্রসঙ্গও।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘যারা অর্থনীতির বড় বড় সংজ্ঞা বোঝে কিন্তু অর্থনীতিতে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার হিসাব-নিকাশ ভুলে যান। দৈনন্দিন জীবনে মানুষ বড় কষ্টে আছে। এ পরিস্থিতি চললে মানুষ সংস্কারেও আর আস্থা রাখবে না।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতীয় ঐক্যে কিছু মানুষ ফাটল ধরানোর চেষ্টা করলেও তারা সফল হবে না। দ্রুত নির্বাচন হলে জনগণের শক্তি বাড়বে বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের কিছু মানুষ বিভিন্নভাবে এ ঐক্যে তারা কিছু ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। আমি জানি সে চেষ্টা সফল হবে না। নির্বাচনটা কেন দ্রুত চাই? এ কারণে দ্রুত চাই, যে নির্বাচনটা হলে আমাদের যে শক্তি সে শক্তি আরো বাড়বে। সরকার থাকবে, পার্লামেন্ট থাকবে। অনেক বেশি শক্তিশালী আমরা। আর যে সংকট তৈরি হয়েছে সেগুলো দূর হয়ে যাবে।’
দুইদিনব্যাপী সম্মেলনে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে আগামী তিন বছরের জন্য এবি পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মজিবুর রহমান মঞ্জু। আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।