বিদেশে এখন
0

করোনার পর চীন ও জাপানে এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব বেড়েছে

করোনার পর এবার নতুন এক ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি-এর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে চীন ও জাপানে। করোনার মতো উপসর্গ এই ভাইরাসে আক্রান্তরা ভুগছেন গুরুতর শ্বাসকষ্টে। ভাইরাসটি করোনার মতো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

প্রায় ১১টি রোগকে সম্ভাব্য মহামারির তালিকায় রাখা হয়েছে। যেগুলোর ধরন অনেকটা হাম, কলেরা, বার্ড ফ্লু ও স্ক্যাবিসের মতো। বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, ২০২৫ সালে করোনার মতো নতুন কোনো মহামারির উদ্ভব হতে পারে।

এরইমধ্যে এইচএমপিভি নামক ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসে চীন ও জাপানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাজ্যের রয়েল কলেজ অব জেনারেল প্র্যাক্টিশনারসের ডা. রেক্স বলেন, ‘বয়স্ক ও শিশুদের ভাইরাসটি বিপজ্জনক এই ভাইরাস নিয়ে এখনই আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই। কারণ এর মিউটেশন ক্ষমতা নেই। মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে বয়স্ক ও শিশুদের জন্য এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের অবশ্যই সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে।’

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, চীনের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় একই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিলো। সবচেয়ে ঝুঁকিতে দেশটির শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা। যদিও এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা চীন সেরকম কোনো সতর্কতা জারি করেনি।

জাপানের অবস্থাও একই রকম। চলতি মৌসুমে দেশটিতে ঠাণ্ডাজনিত সংক্রমণ ছাড়িয়েছে ৭ লাখেরও বেশি মানুষের মধ্যে।

এই পরিস্থিতিতে আগে থেকেই সতর্ক ভারত। শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। সেই সঙ্গে হাসপাতাল ও চিকিৎসকদেরও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ডা. অতুল গয়াল বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এইচএমপিভি সাধারণ ফ্লু, প্রাথমিকভাবে এটি সাধারণ ফ্লু বলেই মনে হচ্ছে। তবে ঠাণ্ডা ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সংক্রমণ যেন না ছড়ায় সে বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। হাঁচি-কাশির সময় ব্যবহৃত রুমাল বা তোয়ালে পরিষ্কার রাখতে হবে। এছাড়া ঠাণ্ডা ও জ্বরের জন্য সাধারণ ওষুধ সেবন করলেই হবে ‘

এইচএমপিভির উপসর্গ অনেকটা করোনার মতোই। জ্বর, নাক বন্ধ, কাশি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলেও ক্রমেই তা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। এই ভাইরাস হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। এমনকি হাত মেলানো বা স্পর্শ করা থেকেও এ রোগ ছড়াতে পারে।

এইচএমপিভি ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল প্রায় দুই দশক আগে। যদিও এখন পর্যন্ত এর টিকা আবিষ্কার হয়নি। করোনার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও একই সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

এএইচ