গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
0

অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলছে নোনা জলের গোলপাতা গাছ

উপকূলীয় অঞ্চলের নদী-খালের নোনা জলে জন্মানো গোলপাতা গাছ এখন কৃষকদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এই গাছ থেকে উৎপাদিত রস ও গুড় দেশ-বিদেশি বাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃষকরা ধান চাষের পাশাপাশি গোলগাছের চাষে ঝুঁকছেন।

নোনা জলের একসময়ের অবহেলিত গাছ গোলপাতা এখন কৃষকদের কাছে সোনার ফসল। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জসহ ইউনিয়িনসহ আটটি ইউনিয়নের খালবিলে দেখা মিলে এই গাছের। শত বছর ধরে অভিজ্ঞদের মাধ্যমে শীত মৌসুমে বাহরের ফলের কাণ্ড কেটে সংগ্রহ করা হয় রস ও গুড়। জমিতে ধান চাষের চেয়ে এই গোলপাতা চাষ করে তিন গুণ অর্থ আয় করছেন চাষিরা।

অর্গানিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত এই গুড় শুধু স্থানীয় বাজারেই নয়, সুপার শপ এবং বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। উপজেলায় ৭০ হেক্টর জমির গোলবাহর থেকে প্রতি বছর প্রায় চার কোটি টাকা আয় করছেন প্রায় তিন শতাধিক চাষি।

গোলপাতার রস ও গুড়ের চাহিদা বাড়ায় গত পাঁচ বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে এর উৎপাদন। কৃষি নির্ভর দেশে গোলগাছের মাধ্যমে আর্থিক সক্ষমতা অর্জনে কৃষকদের গড়ে তোলা জরুরি। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ নেওয়া হলে গোলবাহর চাষে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবে কৃষকরা বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

জলবায়ুর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গোলপাতা চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা।

কলাপাড়া কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মার্কেটিং ফ্যাসিলিটেটর মো. নাছিম আলম বলেন, ‘আমরা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চাষীদের যেসব ধাপ অবলম্বন করে ভোক্তা পর্যায়ে সবচেয়ে ভালো মানে গুড় দেয়া যায় সেসব ধাপ আরো উন্নয়নের চেষ্টা করছি।’

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জকে জয় করে বিকল্প জীবিকার নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে গোলগাছ। এতে করে শুধু কৃষকই নয়, লাভবান হচ্ছে দেশি-বিদেশি ভোক্তারাও।

এএম