লাশ পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। এরপরই এই ঘটনায় বিমানবন্দরে আটক হন ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল কাফি। পরে গ্রেপ্তার হন এএসপি শাহিদুল ইসলাম। দুজনেই কারাগারে আছেন।
আজ (মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৬ শিক্ষার্থীর মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হয়।
পরে শুনানি করে সাভার আশুলিয়া এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। তদন্তে যাদের নাম আসবে তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে আসামি করা কথা জানান চিফ প্রসিকিউটর।
পরে গণমাধ্যমকে ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গেলো ৫ আগস্টে ৬ শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার পর পরিকল্পিতভাবে লাশ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তখনকার সাভার আশুলিয়ার সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হয়। এছাড়া নাম গোপন রেখে আরো চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চাহিদা মতেই ফেরত আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তাকে দেশে আনতে পারলে বিচার কাজ সহজ হবে বলে মনে করেন তাজুল ইসলাম।
সারাদেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ চলমান থাকবে। প্রয়োজন হলে ওইসব মামলা ট্রাইব্যুনালে আনা হবে। আশুলিয়ার শিক্ষার্থী পুড়িয়ে দেওয়ার মামলার পরবর্তী শুনানি ২৬ জানুয়ারি ঠিক করা হয়েছে।