দেশে এখন
0

সাড়ে তিন মাসের লড়াই শেষে চিরনিদ্রায় কিশোর আরাফাত

সাড়ে তিন মাস জীবনের সাথে লড়াই করে হেরে গেলেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী কিশোর আরাফাত। শহীদ আরাফাতের জানাজায় উপস্থিত হয়ে জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, গণঅভ্যুত্থানে প্রতিটি খুনের বিচার করবে অন্তর্বর্তী সরকার। এমনকি শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করা হবে। এসময় সারজিস আলম ও নাহিদ ইসলাম বললেন, শেখ হাসিনার নির্মমতা ভুলে গেলে চলবে না।

শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা থেকে ছুটে এসেছেন হাত, পা হারানো অনেকে।

কিছুক্ষণ পর আসলেন ১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থী আরাফাত। তবে লাশ হয়ে। মাদ্রাসা থেকে নাজেরা পাশ করা আরাফাত ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়। ভাঙ্গে পাজরের হাড় ও মেরুদণ্ড। সাড়ে ৩ মাস জীবনের সাথে লড়াই করে হেরে যায় ২২ ডিসেম্বর রাতে।

সোমবার তার জানাজায় আসেন তার জুলাই বিপ্লবের সহযোদ্ধা, আত্মীয় স্বজন ও অন্তর্বর্তী সরকারের ঊর্ধ্বতনরা। এসময় আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, গণঅভ্যুত্থানে মাদ্রাসা ছাত্রদের অবদানের প্রতিচ্ছবি শহীদ আরাফাত। সুষ্ঠু বিচার ও পুনর্বাসনের দাবি তার।

মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘এ ঋণ শোধ করবো আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রেখে। এ ঋণ আমরা শোধ করবো ভারতের সম্প্রসারণবাদের মোকাবেলা করে। সবগুলো গণহত্যার বিচার হতে হবে।’

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম শহীদের স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত না হওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই শেখ হাসিনার বিচার করতে হবে।

সারজিস আলম বলেন, ‘কোন লক্ষ্য, স্বপ্নকে সামনে রেখে আমার ভাইরা জীবন দিল অকাতরে। আমাদের জায়গা থেকে সেই স্বপ্নগুলোর সাথে বিন্দুমাত্র বিশ্বাসঘাতকতা কেউ না করি। আমরা যেন আমাদের দায়িত্বগুলো থেকে বিন্দুমাত্র ‍বিচ্যুত না হই।’

আর হত্যার বিচার করা অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে মন্তব্য করেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করা হবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের টপ প্রায়োরিটি হচ্ছে প্রত্যেকটা খুনের বিচার করা। একটা খুনও বিচারের বাইরে থাকবে না।’

জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ থেকে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

এএইচ