উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

অনিশ্চয়তা শেষে মার্কিন পার্লামেন্টে ফেডারেল ব্যয় বিল পাস

অনিশ্চয়তা শেষে মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও উচ্চকক্ষ সিনেটে পাস হয়েছে ফেডারেল ব্যয় সংক্রান্ত বিল। এতে সরকারি দপ্তরগুলোর অচলাবস্থা এড়ানো সম্ভব হলো। বিল পাসের পর প্রধান দুই দলের কংগ্রেস সদস্যরা একে নিজেদের বিজয় হিসেবে দাবি করেছেন। স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিলটি আইনে পরিণত করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট সমর্থিত ফেডারেল ব্যয় সংক্রান্ত বিল নিয়ে কংগ্রেসে চলছিলো দোটানা। প্রথম দফায় বিলটি আটকে দেন খোদ রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা। এতে শঙ্কা বাড়ছিল সরকারি দপ্তরগুলোয় অচলাবস্থার।

প্রথম দফায় হোঁচট খেলেও দ্বিতীয় দফায় বাজিমাত করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা গ্রহণের আগেই রিপাবলিকানদের এক করতে সমর্থ হন তিনি। ফলস্বরূপ ৪০০ সদস্যের প্রতিনিধি পরিষদে ৩৬৬ ভোটে বিলটি পাস হয়েছে।

নিম্নকক্ষ ডেমোক্রেটদের দখলে থাকলেও উচ্চকক্ষের দখল রিপাবলিকানদের হাতে। তাই ১০০ সদস্যের সিনেটে বিলটির পক্ষে ভোট দেন ৮৫ আইনপ্রণেতা। এর মাধ্যমে আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত সরকারি দপ্তরগুলোয় তহবিল বাড়ানো হয়েছে।

স্বল্প মেয়াদি প্যাকেজের দুর্যোগ কবলিত রাজ্যগুলোকে দেয়া হবে ১০ হাজার কোটি ডলার। আরো ১ হাজার কোটি ডলার পাবেন কৃষকেরা।

বিল পাসের পর প্রধান দুই দলের কংগ্রেস সদস্যরাই একে নিজেদের বিজয় হিসেবে দাবি করেছেন। প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার বিলটিকে আমেরিকা ফার্স্ট নীতির প্রথম বিজয় হিসেবে অভিহিত করেছেন। রিপাবলিকানদের দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় আগামী বছর এমন কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না বলে দাবি মাইক জনসনের।

প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন বলেন, ‘আমেরিকান রিলিফ আইন- ২০২৫ পাস হয়েছে। এর আওতায় সরকারি দপ্তরগুলোয় তহবিল আগামী বছর মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। যা আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল। এই আমেরিকা ফার্স্ট নীতির আইন। কারণ এর মাধ্যমে মার্কিনরাই উপকৃত হবে।’

অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফ্রিসের দাবি, রিপাবলিকানদের সরকার অচলের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে তার দল। ঋণসীমা বাড়াতে রিপাবলিকানদের অপচেষ্টাকে সফল হতে দেয়া হয়নি।

ডেমোক্র্যাট পার্টির কংগ্রেস সদস্য হাকিম জেফ্রিস বলেন, ‘প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাটরা মাগা সমর্থক রিপাবলিকানদের গভর্নমেন্ট শাটডাউনের অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। খেটে খাওয়া মার্কিনদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে অর্থনীতি ধ্বংসের প্রয়াস ছিল এই ধনকুবেরদের। তবে আমরা তাদের আটকে দিয়েছি।’

উভয়কক্ষে পাসের পর পাসকৃত বিলটি পাঠানো হয়েছে প্রেসিডেন্টের কাছে। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিলটিকে আইনে পরিণত করতে সম্মতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

এএম