খোঁড়া হয়েছে ২৫ ফুট গভীর গর্ত। ওই গর্তে ক্রেন দিয়ে টেনে কনটেইনার থেকে ফেলা হচ্ছে বস্তায় ভরা পচা আদা। কেবল আদা নয়, হাজার টাকা দামের চিংড়ি, কমলা, পশুখাদ্যসসহ একে একে ১ লাখ ৭৬ হাজার কেজি খাদ্য পণ্য ব্যাপক আয়োজনে মাটি চাপা দিলো চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এসব পণ্যের বাজার দর ছিল অন্তত ১০ কোটি টাকা।
অথচ আমদানিকারক যথাসময়ে ডেলিভারি নিলে কিংবা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মেয়াদ শেষের আগে এসব খাদ্য পণ্য নিলামে তুললে এই আয়োজনের দরকার হতো না।
যদিও কর্মকর্তাদের দাবি যথাসময়ে নিলামে তোলা হলেও খাদ্যের মান নষ্ট হওয়ায় বিএসটিআই, আণবিক শক্তি কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তর ছাড়পত্র পায়নি বিডাররা। ফলে নিলামে এসব খাদ্য পণ্য বিক্রি সম্ভব হয়নি।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস উপ-কমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘কোন নিলামকারী ডিও লেটার জারি হবার পরেও সে যদি টেস্টে সার্টিফিকেট না আনতে পারে বা ফেল করে তাহলে আমরা নিলামকারী অনুকূলে ছাড়তে পারি না।’
অনেক সময় আইনি জটিলতায় নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করতে পারে না কাস্টমস। ফলে বন্দর ইয়ার্ডে জট লেগে যায়। চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা নষ্ট প্রায় ২৩১ কনটেইনার পণ্য পর্যায়ক্রমে ধ্বংস করবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। বন্দরের ইয়ার্ড ফাঁকা করতে আগামী তিন মাসের মধ্যে এসব পণ্য ধ্বংস করা হবে। দুর্গন্ধ রোধে ও পুঁতে ফেলা পণ্য চুরি ঠেকাতে এবার বন্দর রিপাবলিক ক্লাবের পেছনে সুরক্ষিত জায়গা বেছে নেয়া হয়েছে। এজন্য সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘বিভিন্ন সময় এমন ধ্বংস যোগ্য মালামাল অনেকে নিয়ে যেত যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি ছিল। তাই ওখান থেকে কেউ কোনো কিছু নিতে না পারে সেটা বিষয়টা নিশ্চিত করছি।’
প্রথম ধাপে ১১১ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করতে খরচ হবে ১ কোটি ২০ লাখ। এসব কন্টেইনারে প্রায় ২ হাজার ৩৫০ টন পণ্য রয়েছে।