উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার তালিকায় আছে অনেকে, তাদের বাতিল করা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাওয়া উচিত তাদের।’
তিনি জানান, অনুরাগ, আত্মীয়তা এমন অনেকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় আছে, এদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। তবে এটি সময়সাপেক্ষ কাজ।
উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা বিভিন্নভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ সনদ নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান রয়েছে। রায় ঘোষণার পরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘অমুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে ইনডেমনিটি জারি হতে পারে। অভিযুক্তরা স্বীকার করলে সাধারণ ক্ষমা, না হলে কঠোর শাস্তির বিধান করা হতে পারে।’
রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক আপত্তির কারণে মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট সকলকে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণার বিষয়টি নতুনভাবে আলোচনায় এসেছে। এটি উল্লেখ করে উপদেষ্টা কমিটির সাথে আলোচনা শেষে এ বিষয়ে আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান ফারুক-ই-আজম।
উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৪ জন ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। যার মধ্যে বীরাঙ্গনা রয়েছেন ৪৬৪ জন।
মন্ত্রণালয় চায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান যেন কোনোভাবেই ক্ষুণ্ণ না হয়। তাই অমুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করতে একটু সময় লাগবে।— যোগ করেন তিনি।
ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘নতুন করে কোন মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করা হচ্ছে না। তবে যে তালিকা আছে সেটি যাচাই-বাছাই করার জন্য ডাটাবেইজ তৈরির কাজ চলছে। মন্ত্রণালয়ে যে তালিকা সম্পন্ন করা আছে সে অনুযায়ী শহীদ বুদ্ধিজীবী ৫৬০ জন।’
তিনি বলেন, ‘রাজাকারের তালিকার বিষয়ে জানা নেই। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে কোনো ফাইল নেই। স্বাধীনতার এতো বছর পরে এসে রাজাকারের তালিকা করতে চাইলেও সেটি অত্যন্ত কঠিন ও দুরূহ কাজ।’
মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ইস্যুতে উপদেষ্টা কাউন্সিলে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের সার সংক্ষেপ যাচাই করা হচ্ছে বলেও এ সময় জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা।