দেশে এখন
0

'কেবল ভারতীয় মিডিয়া নয়, আরো অনেক মিডিয়া অপপ্রচার চালাচ্ছে'

বিদেশি মিশন প্রধানদের কাছে ঢাকার স্পষ্ট বার্তা দিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, কোন সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা বরদাশত করবে না সরকার। কেবল ভারতীয় মিডিয়া নয়, সাথে আরো অনেক মিডিয়ায় অপপ্রচার চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে কিছু প্রতিষ্ঠান। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের আপত্তিকর মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেবার পর থেকেই ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে অন্যতম খবর। এদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ভাইরাল হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার বারবারই এসব ইস্যুতে অবস্থান জানিয়ে আসছে।

আজ (সোমবার, ২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রতিনিধিও।

বিদেশি মিশন প্রধানদের কাছে ঢাকার স্পষ্ট বার্তা, সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা কোনোভাবেই মেনে নিবে না অন্তর্বর্তী সরকার। যা ঘটছে তাই তুলে ধরতে কূটনীতিকদের অনুরোধ জানান।

উপদেষ্টা বলেন, এই সরকার সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা কোনোভাবেই মেনে নিবে না। এখানে হিন্দু বা মুসলিম বলে কথা নয়। আমরা সবাই সমান চোখে দেখবো।

কেবল ভারতীয় মিডিয়া নয়, সাথে আরো অনেক মিডিয়ায় অপপ্রচার চালাচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে কিছু প্রতিষ্ঠান।

তিনি বলেন, ‘এই মেসেজ আমরা সবাইকে দিতে চাই পার্টিকুলার একটা অংশকে না। আমরা এইটাও বলেছি আইন তার গতিতে চলবে। সেখানে যদি কেউ বিশৃঙ্খলা করতে চাই আমরা অবশ্যই সেটাকে শক্ত হাতে দমন করবো।’

বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারে পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানোর বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করেন তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা সব সময় রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সবসময় বক্তব্য দিয়ে থাকেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির জন্য এটা হয়তো তার জন্য সহায়ক হবে না।’

জুলাই- আগস্টে দেড়হাজার মানুষের হত্যা নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার নীরব থাকার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশ সব সময় স্বাভাবিক সম্পর্ক চায়, যা দুই দেশের স্বার্থের মধ্যে দিয়েই হবে।

ইএ