সূত্রে আরও জানা যায়, অপসংহিত ইউপি চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে আদালতে বিভিন্ন মামলা থাকায় দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে রয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার বিভিন্ন কারণ দেখে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। ফলে ব্যাহত হচ্ছে কার্যক্রম আর বঞ্চিত নাগরিক সেবা।
এই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১১ জন ইউপি চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এবং আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করেছেন জেলা প্রশাসক।
তবে দু'টি ইউনিয়ন নওপাড়া ইউনিয়ন ও গন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ স্ব-পদই বহাল রয়েছে।
এর মধ্যে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসানকে বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. ইউনুস রহমানকে আশুজিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, সমবায় কর্মকর্তা কামরুজ্জামান চৌধুরীকে মোজাফরপুর ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, হুমায়ুন দিলদারকে কান্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামানকে সান্দিকোনা ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রহিমা আক্তারকে রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এছাড়া উপজেলা ইন্সট্রাক্টর কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ভূইয়াকে গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা আল-আমিন সরকারকে মাসকা ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মীর্জা মোহাম্মাদকে চিরাং ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেম দলপা ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.আজিজুল রহমানকে পাইকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে দেয়া হয়েছে।