২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। করা হয় ১০ লাখ টাকা জরিমানা।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তিনি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। পরে রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
ছয় বছর পর আপিল শুনানির উদ্যোগ নেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে আপিলের শুনানি হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার আপিল গ্রহণ করে সব আসামিকে খালাস দেন।
রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য বিগত আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়াকে দণ্ডপ্রাপ্ত করেছে বলে অভিযোগ তার আইনজীবীর। দেড় যুগ পর ন্যাযবিচার পেলেন বেগম জিয়া।
দুদকের আইনজীবী জানান, খালেদা জিয়া ট্রাস্ট থেকে কোনো টাকা আত্মসাৎ করেননি। অভিযোগ সঠিক ছিলো না।
৫ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতাবলে খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির দুটি মামলার দণ্ড মওকুফ করে দেন। এরপর আদালত থেকে বিচারিকভাবে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন বিএনপির আইনজীবীরা।