বিএসইসি থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে যে, পুঁজিবাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের তদন্ত করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে কোম্পানির সম্পদ, কারখানা, এবং সরঞ্জাম যাচাই করা, গুদামজাত ও বিক্রিত পণ্যের মূল্য এবং তাদের সত্যতা যাচাই করা। এছাড়া নির্মাণ সামগ্রীর জন্য অগ্রিম এবং বিক্রয় করে যে আয় হয়েছে তা যাচাই করা, ভূমি ও সরঞ্জামের পুনর্মূল্যায়ন এবং বিলম্বিত ট্যাক্স ইস্যু যাচাই, দীর্ঘমেয়াদি এবং স্বল্পমেয়াদি ঋণ এবং পরিশোধের ক্ষমতা এবং সহযোগী কোম্পানির মধ্যে লেনদেনের তথ্য যাচাই করা। সেই সাথে কোম্পানির ভবিষ্যতের বিষয়ে কোনো উদ্বেগের হুমকি আছে কিনা তা মূল্যায়ন করা এবং সম্পর্কিত অন্য কোন সমস্যার বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা।
তাই সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ধারা ২১ এর প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে কমিশন নির্দেশ দিয়েছে যে, উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলো এবং বিনিয়োগের বিষয়ে তদন্ত করা হবে। এজন্য বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হক, সহকারী পরিচালক মাহমুদুর রহমান এবং মো. মাহমুদুল হাসানকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তাদেরকে আদেশ জারির তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলা হয়েছে এবং কমিশনে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের শূন্য লভ্যাংশ না দেয়ায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সর্বশেষ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর লোকসান হয়েছিল ২ টাকা ৭০ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৯ টাকা ৯২ পয়সা। আগামী ১৫ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে ব্যর্থ হওয়া, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা এবং সম্পদের চেয়ে দায় বেশি থাকায় অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘‘অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সার্বিক পরিস্থিতি যাচাই করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে তাদেরকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।