ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া, অম্বিকাপুর ও ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি মাঠে এখন শীতকালীন মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদে ঘাম ঝরাচ্ছেন চাষিরা। কেউ করছেন নিড়ানির কাজ, আবার কেউ সেচ দিয়ে দিচ্ছেন পানি।
শীতের এই সময়ে শুধু ফরিদপুরেই আবাদ হয় এই পেঁয়াজ। আগের বার পেঁয়াজের ভালো দর পাওয়ায় এবার বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুড়িকাটা পেঁয়াজের জন্য জমি প্রস্তুত করেছেন চাষিরা। তবে খরচ বাড়ায় লাভ নিয়ে শঙ্কায় তারা। গুণগত মানসম্পন্ন কীটনাশক ও সার সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি তাদের।
চলতি বছর ৫ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ করেছেন চাষিরা। জেলা কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা জানালেন, আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সবরকম সহযোগিতা নিয়ে চাষিদের পাশেই আছে কৃষি বিভাগ।
ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহেদুজ্জামান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ফরিদপুর জেলায় ৪৩ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৫ হাজার ৩০০ হেক্টরে লক্ষ্যমাত্রা আমরা নির্ধারন করেছি। আশা করছি হেক্টর প্রতি এখানে আমরা ১৪ দশমিক ৫ টন ফলন পাব। যেখানে থেকে ৭৬ হাজার ৮৫০ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে।’
জেলায় তিন প্রকারের পেঁয়াজ আবাদ হয়। এরমধ্যে রয়েছে হালি, দানা ও মুড়িকাটা পেঁয়াজ। দেশের মোট পেঁয়াজ উৎপাদনের দিকে থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তর জেলা ফরিদপুর।