হেমন্তের সকালে নরম আলোয় ফসলের মাঠে সরব কৃষক ও খেত মজুরেরা। পাকা আমনের ঘ্রাণ আর কৃষকের কাস্তে দুইয়ে মিলে তৈরি হয় সমৃদ্ধির সোপান।
রাজশাহী অঞ্চল শুরু হয়েছে আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। অগ্রহায়ণ জুড়ে গ্রাম বাংলার মাঠঘাট, উঠোন মুখরিত থাকবে কৃষাণ-কৃষাণীর ফসল তোলার উৎসবে। এবার বর্ষা পোকার আক্রমণ রুখে দেয়ার পাশাপাশি বাঁচিয়ে দিয়েছে সেচ খরচ। পাশাপাশি অনুকূল আবহাওয়ায় ফলনও হয়েছে বেশ।
প্রাকৃতিক বিপর্যয় না থাকায় গেলবারের মতো বাম্পার ফলনের আশা কৃষি বিভাগের। পাশাপাশি ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতেরও আশা তাদের।
কৃষি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, এ বছর সময়মতো ও পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে রোপা আমন ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে। আমরা আশা করছি এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।
উত্তরের আরেক জেলা নাটোরেও উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ধানকাটা। কার্তিকের মাঝামাঝি থেকে জেলায় ধান কাটা শুরু হলেও অগ্রহায়ণের প্রথম দিনে তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে নবান্ন উৎসব।
চলতি বছর রাজশাহীতে ৮৪ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। যেখান থেকে ৩ লাখ ৫ হাজার ৭৬২ টন ধান পাওয়ার আশা কৃষি বিভাগের। আর নাটোরের ৭৬ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮০৩ টন।