হেমন্তের শুরুতেই প্রকৃতিতে পরিবর্তন এসেছে উত্তরের জেলা বগুড়াতে। কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে সকাল সন্ধ্যা। মৃদু শীত অনুভূত হচ্ছে উত্তরে। কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো দেখা না গেলেও বসে থাকে না শাঁওইল হাটের কম্বল, চাদরের ক্রেতা বিক্রেতারা। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার এই হাটে শীত নিবারণের চাদর কম্বল বেশ প্রসিদ্ধ। দাম কম হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতারা ভিড় করেন এ হাটে।
গার্মেন্টসের অব্যবহৃত কাপড় কিনে এনে এখানে বের করা হয় সুতা। সেই সুতা থেকেই তৈরি হয় চাদর এবং কম্বল। শাঁওইল হাটকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামগুলোতে বসছে অনেক তাঁত। এসব তাঁতেই কাজ করছেন হাজারো শ্রমিক। তাদের অভিযোগ আয় রোজগার একেবারে কমে গেছে।
প্রতিদিন কোটি টাকার বেচাকেনা হলেও নানা সমস্যায় জর্জরিত হাটের নানা অবকাঠামো। নেই নাগরিক সুযোগ সুবিধা। তবে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন বিষয়টিকে গুরত্বের সাথে বিবেচনা করে শুনালেন সমাধানের আশ্বাস।
শাঁওইল বাজারের সাবেক সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘এখানে বহুতল শেড, পানি নিষ্কাশনের ড্রেন, পুলিশ ফাঁড়ি দরকার। এছাড়া কোনো ব্যাংকের শাখা থাকলে সবচেয়ে ভালো হয়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ বলেন, ‘আমাদের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আছে। এ ব্যাংকের মাধ্যমে যদি আমরা তাঁতিদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে তারা একটা মূলধন পাবে। যার মাধ্যমে তাদের ব্যবসাটা আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।’
আদমদীঘির এ শাঁওইল বাজারকে কেন্দ্র করে এলাকায় শতাধিক তাঁতে কাজ করছেন প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক। ৪ মাসে প্রায় দেড়শ' কোটি টাকার শীতবস্ত্র কেনা বেচা হয় এই বাজারে।