ম্যারাথনে অংশ নিতে মধ্যরাত থেকেই অ্যাথলেটরা জড়ো হতে থাকেন স্টার্টিং পয়েন্ট ময়মনসিংহ নগরীর জয়নুল পার্কে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় যখন দৌড় শুরু হয় ততক্ষণে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে।
সুস্থতা, শরীর গঠন এবং মানসিক প্রশান্তির জন্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেন অ্যাথলেটরা। দুটি ক্যাটাগরিতে ১২ বছর থেকে সাড়ে ৭ কিলোমিটার এবং ১৮ বছর থেকে তদুর্ধ্বরা ২৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে অংশ নেন। জয়নুল পার্ক থেকে রান শুরু করে কেআর মার্কেট ঘুরে এসে বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয় কলেজ চত্বরের ফিনিশিং পয়েন্টে শেষ করেন সাড়ে ৭ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারীরা।
২৫ কিলোমিটারের অ্যাথলেটরা সুতিয়াখালি, ভাবখালী এলাকা ঘুরে এসে ফিনিশিং পয়েন্ট র্স্পশ করেন। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অ্যাথলেটরা আসেন ম্যারাথনে অংশ নিতে।
২৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে এক ঘণ্টা ৩৮ মিনিট ১৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন পাবনার ইমরান হাসান। আর সাড়ে ৭ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন ঢাকার ধানমন্ডি আমির হোসেন আমু সময় নেন ২৯ মিনিট। বিজয়ী অ্যাথলেটরা জানান, ময়মনসিংহের সবুজে ঘেরা সড়ক এবং প্রকৃতির মাঝে দৌড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল অনন্য। তাদের মতে, এই ধরনের আয়োজন শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনকেও প্রশান্তি দেয়।
আয়োজকরা জানান, মানুষ, পরিবেশ ও প্রকৃতিতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সুস্থ ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন এবং ময়মনসিংহের পর্যটনস্পটগুলোর দেশ-বিদেশে পরিচিতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এই ম্যারাথন।
ময়মনসিংহ ট্রায়াথলেটসের সভাপতি খায়রুল আলম তুহিন বলেন, ‘এবার আমাদের ম্যারাথনের থিম হচ্ছে রান ফর জাস্টিস। এই জাস্টিস শব্দটি দিয়ে আমরা বোঝাচ্ছি মানুষের প্রতি জাস্টিস, সব প্রাণের প্রতি জাস্টিস, প্রকৃতির প্রতি জাস্টিস।’
ম্যারাথন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নগরীর জয়নুল পার্ক থেকে সুতিয়াখাালি পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। সড়কের মোড়ে মোড়ে মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত পুলিশ। এবারের ম্যারাথনটি ছিল ময়মনসিংহ তৃতীয়বারের আয়োজন।