গত ৫০ বছরে দেশের অবকাঠামোগত অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু এসবের বেশিরভাগই হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। এমন কী গ্রামাঞ্চলসহ দেশের ৮৫ ভাগ জায়গা এখনো পরিকল্পনার বাইরে রয়ে গেছে বলে মনে করেন, পরিকল্পনাবিদরা।
বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবসে নগরবিদদের সংগঠন বিআইপির ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে, দেশের অসম উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সমন্বয়হীনতা নিয়ে কথা বলেন, আলোচকরা।
নগর পরিকল্পনাবিদ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন বলেন, ‘আমরা টেকসই ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। যদি আমরা সুষম উন্নয়ন করতে চাই, তাহলে সারা বাংলাদেশের জন্য পরিকল্পনা লাগবে এবং অন্যান্য সব পরিকল্পনার সঙ্গে এটি সম্পৃক্ত থাকতে হবে এটাই হলো স্থানিক পরিকল্পনা।’
নগর পরিকল্পনাবিদের মতে, আগে নগর তৈরি করে, পরে পরিকল্পনা প্রণয়ন করায় সার্বিকভাবে উন্নয়নের সুফল মিলছে না।
ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘পরিকল্পনা করে যদি আমরা তা ধরে রাখতে না পারি, তাহলে মানুষের মধ্যে কোনো আস্থা তৈরি হবে না। তখন মানুষ পরিকল্পনা অনুসরণ করতে কোনো তাগিদ বোধ করবে না। এছাড়া আমরা উদাহরণ তৈরি করতে পারছি না এটা আমাদের একটা বড় সমস্যা।’
রাজধানী সম্প্রসারণে নেয়া ড্যাপ মহাপরিকল্পনা ১৫৬ বার সংশোধন করা হয়েছে উল্লেখ করে রাজউক চেয়ারম্যান জানান, এটিকে বাস্তবসম্মত করার কাজ চলছে।
রাজউকের চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেন, ‘ভবিষ্যতে যেসব প্লট রাজউক দেবে সেখানে ২০ কাঠা নিচে বরাদ্দ করা হবে না। সেখানে এক বিঘা প্লট দেয়া হবে এবং সেখানে জানতে চাওয়া হবে কয়টা ফ্ল্যাট করা হচ্ছে। এছাড়া পরিবেশবান্ধব ও নান্দনিক ঢাকাকে কীভাবে করা যায় সেজন্য সবাইকে নিয়ে আমরা একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছি। আশা করছি এটা ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে এটা একদিনে বাস্তবায়ন করা যাবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘রাজউকের উত্তরা, পূর্বাচল ও ঝিলমিল প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রাজধানীর প্রায় ৫০ লাখ মানুষ সেখানে বাস করতে পারবেন।’