উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

কে যাবেন হোয়াইট হাউসে?

হোয়াইট হাউসে কে যাবেন? তা নির্ধারণে আর কয়েক ঘণ্টা পরই শুরু হবে ভোট। বিশ্বের শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে জল্পনা কল্পনা বিশ্বজুড়ে। এরই মধ্যে সমাপনী সমাবেশ করেছেন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান প্রার্থী। মিশিগানে ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় পাবে তার দল। প্রচারণার শেষ র‍্যালিতে তিনি আরব-মুসলিম ভোটারের সমর্থনের আহ্বান জানান। এদিকে পেনসিলভানিয়াতে প্রচারণার শেষ র‌্যালিতে কামালা হ্যারিস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত তিনি।

ট্রাম্প একটি স্লোগানই বারবার ব্যবহার করছেন ‘টু বিগ টু রিগ’। এই স্লোগানের নেপথ্যে কি? আসলে ট্রাম্প সমর্থকদের তাকে জেতাতে এত বেশি ভোট দিতে বলছেন, যেন জালিয়াতি হলেও ট্রাম্পই জিতেন।

নির্বাচনের আগে শেষ মুহূর্তে ব্যাটল গ্রাউন্ড স্টেট মিশিগানে প্রচারণা শেষ করেছেন তিনি। প্রচারণায় ট্রাম্প বলেন, ডেমোক্রেটরা আমেরিকাকে শেষে রেখেছে, তিনি আমেরিককে প্রথম অবস্থানে নিয়ে যাবেন। ট্রাম্প আরো বলেন, হত্যাচেষ্টার পরও তিনি বেঁচে গেছেন। তার মানে সৃষ্টিকর্তা তাকে বাঁচিয়েছেন যেন তিনি আমেরিকাকে বাঁচাতে পারেন।

তিনি আরো বলেন, এটাই তার শেষ নির্বাচন। এরপর আর কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরিকল্পনা তার নেই। ব্যাটল গ্রাউন্ড স্টেট মিশিগানে তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ট্রাম্প বলেন, ‘এবারই সব কাজ শেষ করার প্রত্যয় থাকতে হবে।’

র‍্যালিতে সুইং স্টেট মিশিগানের আরব ও মুসলিম ভোটারদের সমর্থনের জন্য আহ্বান জানান ট্রাম্প। গাজা ইস্যুতে ডেমোক্রেটদের ভূমিকা নিষ্ক্রিয় থাকায় এই রাজ্যের ভোটারদের ট্রাম্পকে ভোট দেয়ার সম্ভাবনা বেশি বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা।

উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘এই জয় ইতিহাস সৃষ্টি করবে। ডেমোক্রেটরা জালিয়াতি করলেও এটাই হবে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ জয়। ট্রাম্প আরো বলেন, ‘কামালা হ্যারিস নয়, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডেমোক্রেটদের জটিল সিস্টেমের বিরুদ্ধে। ডেমোক্রেটরা যুক্তরাষ্ট্রকে দখল করে রেখেছে। তাই ৫ নভেম্বর হবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামালা হ্যারিস প্রচারণার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ১০৭ দিন। জো বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর ডেমোক্র্যাটদের হাল ধরেন তিনি। এরপর চষে বেড়িয়েছেন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। নজর কেড়েছেন ভোটারদের।

পেনসিলভেনিয়াতে নির্বাচনের শেষ র‍্যালিতে কামালা বলেন, এখন পর্যন্ত ইতিহাসের সবচেয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে এই নির্বাচনে। যেখানে প্রতিটা ভোট গুরুত্বপূর্ণ। তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বের সময় এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত কামালা।’

নির্বাচনের পর ভোট গণনা শেষেই জানা যাবে ২০ জানুয়ারি কে বসছেন হোয়াইট হাউজের মসনদে।

এএম