শিল্প-কারখানা
অর্থনীতি
0

ঢাকায় শুরু হয়েছে দু’দিনের ডেনিম এক্সপো

২০২৬ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ডেনিমের বাজার ৭৬.১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যার অংশীদারিত্ব বাড়াতে বিদেশি ক্রেতা-বিক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে আয়োজন করা হয় ডেনিম মেলার। এরই ধারাবাহিকতায় আজ (সোমবার, ৪ নভেম্বর) ও মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজন করা হয়েছে ডেনিম এক্সপোর। ব্যবসা বাড়াতে পণ্যের মান ও প্রকারে ভিন্নতার পাশাপাশি নজর দেয়া হয়েছে টেকসই উৎপাদনে।

২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ ইউরোপের দেশগুলোতে ডেনিম রপ্তানিতে শীর্ষে। এ অঞ্চলে প্রতি তিন জনের একজন বাংলাদেশে উৎপাদিত ডেনিমের প্যান্ট ব্যবহার করেন।

দিনদিন চাহিদা বাড়ায় বিশ্ববাজারে সাড়ে ৬৪ বিলিয়ন ডলারের ডেনিমের আধিপত্য। যেখানে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা বাড়াতে ইতোমধ্যে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ এখাতে। বর্তমানে দেশীয় রপ্তানিকারকরা পাঁচ বিলিয়ন ডলারের বেশি ডেনিম পণ্য সরবরাহ করছেন।

২০২৬ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ডেনিমের বাজার ৭৬ দশমিক এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে ধারণা করছে বিশেষজ্ঞরা। এটি বছরে চার দশমিক আট শতাংশ হারে বাড়বে। আর তাই বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে প্রতি বছর ডেনিম মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।

সোমবার থেকে শুরু হলো দুইদিনের ডেনিম এক্সপোর ১৭তম আসর। আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী। প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত আসতে পারবেন দর্শনার্থীরা।

ডেনিম এক্সপোতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশসহ সাত দেশের ৪৪টি প্রতিষ্ঠান। তাদের মধ্যে আছে ডেনিম কাপড় উৎপাদনকারী ও প্রস্তুতকারক। এছাড়া সুতা ও বোতাম সহ আনুষঙ্গিক জিনিসের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

মেলাতে একাধিকবার আসা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জানালো তাদের প্রত্যাশার কথা। সেই সাথে ডলার সংকটের কারণে বিল পরিশোধের সাময়িক সমস্যার কথাও জানান কেউ কেউ।

এছাড়া মেলাতে এসেছেন দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীরা। মান ও প্রকার সহ যাচাই করে দেখছেন জলবায়ু ও পরিবেশ রক্ষা করবে এমন পণ্য।

দেশে ইতোমধ্যে ৪২টি আধুনিক কারখানা আছে। এ থেকে প্রতি বছর ৯০ কোটি মিটারের বেশি ডেনিম কাপড় উৎপাদন সম্ভব। তবে আগামীতে ব্যবসা বাড়ানোর পাশাপাশি সবুজ পণ্য উৎপাদনে নজর দেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

ইএ