প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ২ক-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ-এর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলপূর্বক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চট্টগ্রাম ওয়াসার পদ থেকে অপসারণ করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
একইসাথে চট্টগ্রাম ওয়াসার বর্তমান বোর্ডও বিলুপ্ত করা হয়। ২০০৯ সালের ৬ জুলাই প্রথমবার চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পান ফজলুল্লাহ।
২০২৩ সালের শেষ দিকে এমডি হিসেবে তিন বছরের জন্য নিয়োগ পান তিনি। এ নিয়ে টানা অষ্টম মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে পদ আঁকড়ে থাকা, প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি, নিয়োগে স্বজনপ্রীতিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে একাধিক অভিযোগের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশনও। এছাড়াও চাকরি জীবনে অনিয়মে কারণে জড়িয়ে বহিষ্কারও হয়েছিলেন তিনি।
পরবর্তীতে একটি কো-অপারেটিভ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হয়ে অর্থ আত্মসাত করায় দুই দফায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এবং বিভিন্ন সংগঠন তাকে অপসারণে বিক্ষোভ সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিল।
২০০০ সালে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে সংস্থাটি থেকে অবসর নেন ফজলুল্লাহ। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুই বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০১১ সালে ঢাকা ওয়াসার আদলে চট্টগ্রাম ওয়াসাতেও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ তৈরি করা হয়। ওয়াসা বোর্ডও পুনর্গঠন করা হয়।
তখন এমডি পদে নিয়োগ পান তৎকালীন চেয়ারম্যান এ কে এম ফজলুল্লাহ। সেই থেকে এমডি পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।