নাহিদ ইসলাম বলেন, 'বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমরা সকলেই জানি একটি গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের সমর্থনে গঠিত হয়েছে। ৫ আগস্টের পর বিদ্যমান সেটাপে রাষ্ট্রপতিকে রেখে সরকার গঠন করা হয়।'
তিনি বলেন, 'রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সেই সময়ে বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে রেখেই আমরা সরকার গঠন করেছিলাম। কিন্তু যদি আমাদের মনে হয় যে এই সেটাপে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে রাষ্ট্র পরিচালনার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে অথবা জনগণ এই সেটে অসন্তুষ্ট, তাহলে বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাববো এবং পুনঃমূল্যায়ন আমরা করছি।'
নাহিদ বলেন, 'রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না এই প্রশ্নটিই এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয় এটি একেবারেই একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে রাজনৈতিক সমঝোতা এবং জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিভিন্ন অংশীজনের সাথে আমরা আলোচনা করছি এবং আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত হয়তো আসবে। তবে এই সিদ্ধান্তের আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি যে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা।'
সবার উদ্দেশ্যে এ সময় তথ্য উপদেষ্টা বলেন, 'জনগণ না চাইলে থাকবে না রাষ্ট্রপতি। স্থিতিশীলতার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা সচেতন থাকি এবং শান্ত থাকি। কোন ধরনের সুবিধাভোগী গোষ্ঠী বা নানা ধরনের দেশি-বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের যাতে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হয় যাতে তারা সুবিধা নিতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং আমরা এ বিষয়টা এ কারণেই মনে করছি যেটা রাজনৈতিক আলোচনা সমঝোতার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ফলে সবাইকে শান্ত থাকা দরকার। সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমাদের আহ্বান অরাজক পরিস্থিতি যাতে না হয়।'
জনগণের মেসেজটি পাওয়া গেছে এবং সে বিষয়ে আলোচনা চলছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভের দরকার নেই। শান্ত হোন। আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত যেতে হবে। সকলকে শান্ত থাকার এবং সচেতন থাকার আহ্বান থাকবে।'
নাহিদ আরও বলেন, 'পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি দ্বারা মাথা ছেড়ে দেওয়ার উঠার চেষ্টা করছে আপনার দেখছেন। তারা বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রসহ মিছিল করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোপাগান্ডা করছে। পাশাপাশি চাঁদাবাজ এবং সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। আমরা যাতে সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখি সকলে এবং সেই ফ্যাসিবাদী শক্তি যাতে মাথা ছেড়ে উঠতে না পারে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ তৈরি করি।'
উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, 'আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্ররা। আমাদের জায়গা থেকে একটা আলোচনা করছি। যখন আলোচনার মাধ্যমে আমরা একটা সিদ্ধান্তে যেতে পারবে যেটা আমাদের রাষ্ট্র এবং জনগণের পক্ষে যাবে তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। যৌক্তিক সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সময় নিচ্ছি আমরা।'