দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ঐতিহ্যবাহী একটি ক্লাবের নাম শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। এই ক্লাবের জার্সি গায়ে নামিদামী অনেক ফুটবলারই খেলেছেন। তাদের অংশগ্রহণে সাফল্যের দেখাও পেয়েছে অল ব্লুজ খ্যাত ক্লাবটি। ২০১২-১৩ ফুটবল মৌসুমে ট্রেবল জেতার সুখস্মৃতি রয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের।
এরপর শিরোপার দেখা না পেলেও সমীহ জাগানিয়া শক্তি হিসেবেই ঢাকাই ফুটবলে খেলে গেছে ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়া ক্লাবটি। আলাদা টুর্নামেন্টে রানার্সআপও হয়েছে কয়েকবার।
অন্যান্যবারের মতো ২০২৪-২৫ মৌসুমেও খেলার কথা ছিল গেলবার ষষ্ঠ হয়ে লিগ শেষ করা দলটির। তবে, দেশে ক্ষমতার পালাবদলের প্রভাব পড়েছে ক্লাবের ওপর।
ক্লাবটির ক্রীড়া পরিচালক সালেহ জামান সেলিম বলেন, 'আমাদের বড় একটা স্পন্সর ছিল বসুন্ধরা গ্রুপ। ২০১৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তারা স্পন্সর ছিল। তবে ৫ আগস্টের পর নিষেধ করে দিলো তারা আর স্পন্সর করতে পারবে না।'
এবারের মৌসুমে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে মাঠের ফুটবলে দেখা যাবে না বলে ব্যথিত হয়েছেন ক্লাবের এই পরিচালক। তবে, সংকট কাটিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায় ক্লাবটি। এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত প্রবীণ এই সংগঠক।
সালেহ জামান বলেন, '২০২৪ সালটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের। ২০২৫ সাল হয়তো আলো আসবে। শেখ রাসেল খেলবে।'
প্রতি মৌসুমে ফুটবলের দল গড়তে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে হয় ক্লাবগুলোকে। তাই পরবর্তী মৌসুমের জন্য পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা দরকার শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের। যদিও স্পন্সর ব্যবস্থা না হলে বিকল্প ভাবনা আছে ক্লাব কর্তাদের।
এদিকে, বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যানও চান, খেলায় ফিরে আসুক শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।
বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান বলেন, ‘আমরা চাইবো না কোনো ক্লাব ফুটবল থেকে হারিয়ে যাক। আরও কিছু ক্লাব খেলবে না ঘোষণা দিয়েছিলো আমরা চেষ্টা করবো মাঠে ফিরিয়ে আনার।’
সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে দ্রুতই মাঠের ফুটবলে প্রত্যাবর্তন ঘটবে ক্লাবটির। এমনটাই প্রত্যাশা দেশের ফুটবল সংশ্লিষ্টদের।