দ্রুততম সময়ের মধ্যে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়া অত্যন্ত জরুরি বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সময় গতকাল (বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ওয়াশিংটনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত সংবর্ধনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়াশিংটন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এজেএম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাবেক সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরি, অ্যাডভোকেট নয়ন বাঙালি, কবিতা দেলোয়ার, মেজর (অব.) আলম, মাসুদুর রহমান মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার নুরুজ্জামান, নেছার আহমেদ, মিজানুর রহমান, কবিরুল ইসলাম, শামসুদ্দীন মাহমুদ প্রমুখ।
গনি চৌধুরি বলেন, 'দেশ সংস্কারের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের। একটি দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী করতে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। জনগণের উন্নয়ন জনগণের নির্বাচিত সরকার দ্বারাই সম্ভব। কারণ, জনগণের সরকার হলে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে।জনগণের সরকারের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় ভোটের মাধ্যমে।'
যেদিন বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিনই মানুষ তার পূর্ণ স্বাধীনতা ফিরে পাবে। আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস অন্তর্বর্তী সরকার জনগণকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবেন বলে জানান তিনি।
কাদের গনি চৌধুরি বলেন, 'আজকে আমরা মুক্ত পরিবেশে, ভয়হীন পরিবেশে কথা বলতে পারছি। এই পরিবেশের জন্য দীর্ঘ ১৭ বছর অনেক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। গত জুলাই-আগস্ট মাসে হাজারো মানুষ নিহত ও অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। গত ১৭ বছরে শুধু বিএনপির ৬০ লাখ নেতা-কর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেকে মারা গেছেন। অনেকে গুম হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এত মানুষের আত্মত্যাগের কারণ একটাই, তাঁরা তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পেতে চান।'
তিনি বলেন, 'আজকে বাংলাদেশের সমস্ত মানুষ প্রত্যাশা করছেন, তাঁদের প্রিয় দল বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করবে। সে জন্য ১৭ বছর ধরে আমরাও সংগ্রাম করেছি। তাই বিএনপির নেতা-কর্মীদের বলবো, এ দেশ থেকে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে বলেই সব বিপদ কেটে যায়নি।'
আমাদের সবাইকে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। শুধু রাজনৈতিক মুক্তি পেলেই হবে না, বাংলাদেশের মানুষদের অর্থনৈতিক মুক্তি পেতে হবে। তা না হলে মানুষের সফলতা আসবে না বলেও জানান তিনি।