নদীকে ঘিরে এ দেশের সাহিত্য, সংস্কৃতির বিকাশ ও সভ্যতার সূচনা হয়েছে। বুড়িগঙ্গাকে বলা হয় ঢাকার প্রাণ। টেমসের তীরে যেমন লন্ডন, সেইনের তীরে প্যারিস, তেমনই বুড়িগঙ্গার তীরে রাজধানী ঢাকা।
কিন্তু এখন বুড়িগঙ্গার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়াই মুশকিল হয়ে গেছে। পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে কমেছে, বেড়েছে বিষাক্ত পদার্থের পরিমাণ। ।
বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বুড়িগঙ্গার করুণ পরিস্থিতির জন্য দায়ী অপরিকল্পিত নগরায়ন। তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিল্প-কারখানা আর নদীতে নৌযান চলাচলে পোড়া মবিলে প্রতিনিয়তই বাড়ছে দূষণ। হুমকির মুখে থাকা বুড়িগঙ্গাকে রক্ষায় সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সবার সচেতনতা প্রয়োজন বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।
বিআইডাব্লিউটিএ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফয়েজ উল্যাহ বলেন, ‘বসিলাতে আমরা কাজ করি। এখানে সাধারণ মানুষই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আমরা মানুষের সাথে কথা বলে এইসব কাজ সমাধান করি।’
পরিবেশ আন্দোলনকর্মীদের দাবি, প্রতিদিন যেভাবে দখল হচ্ছে এখনই পদক্ষেপ না নিলে আরও সংকুচিত হবে নদী। রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা থাকলে নদীর যৌবন ফেরানো সহজ হবে। এছাড়া জীবন সত্তা আইন বাস্তবায়ন করা জরুরি বলেও মনে করেন বক্তারা।
নোঙর ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সুমন শামস বলেন, ‘উজানের দিকে যেসব আন্ত:সীমান্ত নদী রয়েছে সেগুলো বাঁধ দেয়ার ফলে আমরা পানির নায্যতা পাচ্ছি না। আন্ত:সীমান্ত নদীর অধিকারে আমার দেশের সরকার কথা বলবে। ’
বুড়িগঙ্গাকে দূষণমুক্ত করতে কঠিন পদক্ষেপের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার পরামর্শ আসে আলোচনায়। ঢাকার অন্য নদী ও খালের সঙ্গে বুড়িগঙ্গার সংযোগ সারা বছর নাব্য রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন পরিবেশবাদী ও সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।