অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর এক বিশেষে পরিস্থিতিতে আমি ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করি। তখন সড়কে ও গণপরিবহনে এক ধরনের অব্যবস্থাপনা বিদ্যমান ছিল। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সে পরিস্থিতি থেকে আমরা উন্নয়ন ঘটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছি। আমরা এই অবস্থা ধরে রাখতে চেষ্টা করছি।’
মতবিনিময়কালে রাস্তায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় বাস মালিকদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানো, রাস্তার মাঝখানে ও যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠা-নামা এবং এলোমেলো ভাবে রাস্তায় গাড়ি রাখা বন্ধ করতে হবে।’
বাস মালিকদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ড্রাইভার ও বাস শ্রমিকদের এ এ বিষয়ে আরো সচেতনতা ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তাদেরকে আরো বেশি মনিটরিং করা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করলে মহানগরীর যানজট সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হব। যে কোনো প্রয়োজনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সব সময় আপনাদের পাশে থাকবে।’
সভায় বাস মালিকদের পক্ষ থেকে আরো সহযোগিতা ও বাস শ্রমিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সচেতনতামূলক সভা করার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় ডিএমপির অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ; অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, ট্রাফিক বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণ, সিটিবাস মালিক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।