প্রবাস
0

কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটে উড়োজাহাজের ভাড়া বাড়তি, বিপাকে প্রবাসীরা

কয়েকমাস স্বাভাবিক থাকার পর এবার বাড়তে শুরু করেছে কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটের উড়োজাহাজের ভাড়া। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ছুটিতে দেশে আসতে চাওয়া প্রবাসীরা। নানা কারণে প্রবাসী হয়ে দীর্ঘদিন কর্মহীন থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুকদের সংকট আরও চরমে পোঁছেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, 'আগামী কয়েকমাস ভাড়া আরও বাড়তে পারে।'

ঢাকা-কুয়ালালামপুর আকাশ পথের কয়েকমাস আগের ভাড়া এখন কমলেও বাড়তে শুরু করেছে কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকা রুটের ভাড়া । এ রুটের টিকিট কিনতে প্রবাসীদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। কেনাকাটার তালিকা কাটছাঁট করতে হচ্ছে অনেককেই । তবে অনেকটাই স্বাভাবিক আছে মালয়েশিয়া থেকে যাওয়া আসার ভাড়া। বিদেশি এয়ারলাইন্সের তুলনায় দেশিও এয়ারলাইন্সগুলিতে ভাড়া বেশি ।

প্রবাসীদের মধ্যে একজন জানান, যারা সিঙ্গেল টিকেট কাটছে বা ট্রাভেল পাস নিয়ে দেশে যাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে টিকিটের দামটা একটু বেশি।

'ডিসেম্বর আসলে টিকিটের দামটা একটু বেশি হবে। এইজন্য এখন টিকিট আগে আগে কিনে নিলাম। কারণ এখন টিকেটের দাম একটু কম আছে', জানান আরও একজন প্রবাসী।

দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ বিদেশিদের জন্য চলছে সাধারণ ক্ষমার প্রত্যাবাসন কর্মসূচি, যা চলবে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ কর্মসূচিতে বিচারের মুখোমুখি না হয়েই জরিমানা দিয়ে দেশে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন অবৈধরা । এমন সুযোগে দেশে ফিরে যাচ্ছেন বহু বাংলাদেশিও।

দীর্ঘদিন কর্মহীনতা ও নতুন এসে ফেরত যেতে বাধ্য হাওয়া প্রবাসীরা আছেন আরও সংকটে। দেশ থেকে ধার করে অর্থ এনে টিকিট কাটছেন কেউ কেউ । অগ্রীম টিকিটও কাটছে অনেকে।

ফ্লাইট সংখ্যা সীমিত ও যাত্রী চাপ বাড়ায় এ পথে ভাড়া বাড়ার অন্যতম কারন বলছেন সংশ্লিষ্টরা । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভাড়া আরও বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কাও তাদের । এখানে কোনো কারসাজি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখারও গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা ।

মালয়েশিয়া সেরী মেছান ট্রাভেল ব্যবস্থাপনার পরিচালক আশরাফ মাহমুদ বলেন, 'কুয়ালালামপুরে যে পরিমাণ কর্মী আছে আবার নতুন যারা আসছে। অনুমান করা হয় ১০-১২ লাখ কর্মী এখানে আছে। সে তুলনায় ফ্লাইট এখন পর্যাপ্ত নাই। অবৈধ লোকেরা সব বসে আছে শেষ সময়ে যাওয়ার জন্য। সেজন্য প্রচুর প্রেসারের কারণে টিকিটের দাম বেশি হবে।'

মালয়েশিয়ার ট্রাভেল এজেন্ট মোকাম্মেল হোসেন বলেন, 'একটা সিন্ডিকেট ব্যবস্থা চালু করে গেছে। ইকোনোমি সিটগুলো তারা বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিক্রি করে। আর আমরা যারা ব্যবসায়ী আছি আমরা টিকিট কিনতে গেলে হাইক্লাস এবং সেকেন্ড ক্লাসের ছিট পাচ্ছি।'

এমন বাস্তবতায় প্রত্যবাসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রবাসীদের শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা না করার পরামর্শ সচেতন প্রবাসীদের । একইসঙ্গে চাহিদা বিবেচনায় ডিসেম্বরে ঢাকাগামী ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানোরও তাগিদ তাদের।