দেশে এখন
0

বরিশালে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, আতঙ্কে নগরবাসী

বরিশালে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অসংখ্য রোগী। ডেঙ্গুর প্রকোপ ও মশার উপদ্রপ বাড়ায় আতঙ্কে দিন কাটছে নগরবাসীর। সিটি কর্পোরেশন বলছে, মশক নিধনে নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর ডেঙ্গুর ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।

দেশের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি বরিশালেও বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গেল বছর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।

চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় চিন্তার ভাজ নগরবাসীর কপালে। এর মধ্যে বেড়েছে মশার উপদ্রবও। তাই এডিস মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশনের নজরদারী বাড়ানোর দাবি বাসিন্দাদের।

নগরবাসীদের মধ্যে একজন বলেন, 'বরিশালে তো মশার উপদ্রপ বাড়ছে। সদ্ধ্যার দিকে মশা বেশি বাড়ে।'

আমরাও আতঙ্কিত বরিশালে নাকি ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। আগে তো মশার ঔষধ দিতো এখন আর দেয়না বলেও জানান একজন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের বেড সংকট থাকায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে মেঝেতে। ছবি: এখন টিভি

বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর জন্য চালু হয়েছে আলাদা ওয়ার্ড। যেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা। বেড সংকট থাকায় অনেককেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে মেঝেতে।

গত মাসের মাঝামাঝি থেকে রোগীদের চাপ বাড়ছে বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক। তবে রোগীদের সেবায় ওষুধসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

রোগীদের মধ্যে একজন জানান, 'জ্বর উঠছিল প্রচন্ড। আর শরীর ব্যাথা ছিল। প্রথমে ভাবছি স্বাভাবিক পরে টেস্ট করার পর ডেঙ্গু ধরা পড়ছে।'

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, 'আগস্টের মাঝামাঝি থেকে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সেক্ষেত্রে আমরা আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। প্রতি ইউনিটে ডেঙ্গু ওয়ার্ড করা আছে।'

এছাড়াও ডেঙ্গু রোগীদের পর্যাপ্ত সেবার জন্য সব ব্যবস্থা আমাদের আছে।

জ্বর ও সুনির্দিষ্ট লক্ষন দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সেইসঙ্গে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষায় সারাবছর মশা নিধনসহ অন্যান্য কার্যক্রম চালু রাখার কথা বলেন চিকিৎসকরা।

বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগ পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল জানান, কোনোদিন ৮-১০ জন আবার কোনোদিন ৩০-৪৫ পর্যন্ত চলে যায়। তবে ৪০ থেকে ৪৫ জন আমাদের জন্য খুব আশঙ্কাজনক। যদি প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ মধ্যে থাকত তাহলে ডেঙ্গু রোগী নিয়ন্ত্রন করা সহজ হতো।

সিটি কর্পোরেশন বলছে, মেশিন স্বল্পতায় মশক নিধন কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। ওয়ার্ডভিত্তিক ১৫ দিন পর পর হ্যান্ড স্প্রে ও ফগার মেশিনে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতে বিলি করা হচ্ছে লিফলেট।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. পল্লবী বলেন, 'আমরা একটা টেন্ডার পাশ করেছি। আমাদের ৯০ টা হ্যান্ড স্প্রে আসবে ও ৩০ টা ফগার মেশিন আসবে। এইগুলো আসলে আমাদের কার্যক্রম আরো বাড়বে।'

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, বরিশালে বিভাগে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৭৯২ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ১১ জন।

এফশি

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর