রাজস্ব আয়ের দিক থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের পরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের অবস্থান। প্রতি মাসে অনলাইন এবং অফলাইন মিলিয়ে প্রায় কোটি টাকার বিক্রি হয় এই স্টেশন থেকে। পূর্বাঞ্চল রেলপথের গুরুত্বপূর্ণে এ স্টেশন থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন ৫ থেকে ৭ হাজার যাত্রী।
তবে কালোবাজারিদের উৎপাতে যাত্রার ১০দিন আগে গিয়েও কাউন্টার থেকে টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সহজে টিকিট মিলতো না অনলাইনেও। বিভিন্ন আইডি দিয়ে টিকিট ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বেশিরভাগ টিকিট কেটে নিত কালোবাজারিরা। পরে সেই টিকিটি যাত্রীদের কাছে বিক্রি হতো দ্বিগুণেরও বেশি দামে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার দেড়শ’ টাকা মূল্যের একটি টিকিট বিক্রি হতো ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়।
গত ৫ আগস্টের পর থেকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে টিকিট কালোবাজারি। তবে যাত্রী সংখ্যার তুলনায় আসন সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে নতুন একটি ট্রেন যুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, 'কালোবাজারি বন্ধ করতে আমরা শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।'
যাত্রীদের একজন বলেন, 'আমাদের যে টিকেট দেড়শ’ টাকা সেই টিকেটে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকায় কিনতে হতো। সেটা এখন বন্ধ হয়েছে। আমরা দুইদিন আগেও টিকেট কিনতে পারছি।'
রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, আগে থেকেই তাদের চেষ্টা থাকলেও কালোবাজারি বন্ধ সম্ভব হয়নি।
আর যাত্রী দুভোর্গ কমাতে টিকিট সংখ্যা বাড়ানোর জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা জপ্রশাসনের এ কর্মকর্তা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. সাকির জাহান বলেন, 'যাত্রী চাহিদার তুলনায় টিকেটের টাকা খুবই কম। এখানে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার যাত্রী আসা যাওয়া করে।'
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা বলেন, 'শিক্ষার্থীরা চেষ্টা করছে। আমরাও এই ক্ষেত্রে সজাগ আছি কেউ যেন কালোবাজারি না করতে পারে।'
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে প্রতিদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী ও ময়মনসিংহগামী ১৪ জোড়া ট্রেন থামে।