নেই কোন অনুমোদন বা চালক দক্ষতার বালাই। তার উপর আছে বিদ্যুৎ অপচয় ও দুর্ঘটনার দুর্নাম। অথচ নগরের কিছুটা পিছিয়ে থাকা এলাকা বা সরু সড়কে বেশ দাপুটে চলাচল করে এসব অটোরিকশা। নগরের যাতায়াত ব্যবস্থায় স্বল্প খরচে দ্রুত গন্তব্যে যাওয়ার এসব যান অবৈধ হলেও যেন হয়ে উঠেছে অপরিহার্য।
মূলত অলি-গলিতে চলাচল করলেও ৫ আগস্টের পর থেকে এসব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নগরের প্রধান সড়ক ও মহাসড়ক। সরকার পরিবর্তনে ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে এসবের সংখ্যা। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা, বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
দিনমজুর বা দোকান কর্মচারি, পঙ্গু অসহায় বা এলাকার বেকার কিশোর রাতারাতি বনে গেছে অটোরিকশা চালক। গত এক মাসে নগরের মূল সড়কে রিকশা, সিএনজি সাথে অটোরিকশা বেশ পাল্লা দিয়ে চলছে অবৈধ এসব যান। ব্যাটারির চার্জ নিতে যেসবের ভরসা অলিগলির গ্যারেজের চুরি করে নেয়া বিদ্যুৎ সংযোগ। এসব বন্ধে গেল মাসে সড়কে নেমেছিল নগরের সিএনজি ও প্যাডেল চালিত রিকশা চালকেরা।
পুলিশ বলছে এসব যানের অধিকাংশই চালায় অপেশাদার চালকেরা। এদের মধ্যে অনেকেই আছে নেশাগ্রস্ত, উশৃঙ্খল, বেপরোয়া স্বভাবের।
দীর্ঘদিন ধরে হ য ব র ল নগরের ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে তৎপরতা শুরু করেছ পুলিশ। তাই সড়কে ধীরে ধীরে হার্ডলাইনে যাচ্ছে তারা। রোববার সন্ধ্যায় এসব যান নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এক সংবাদ বিবৃতি দেয় সংস্থাটি।
অটোরিকশার চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কঠোর হলেও নগরে বাড়ছে এসবের শোরুম। বিক্রিও বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই মূল সড়ক নিরাপদ হলেও নগরের অন্যান্য সড়কে এসবের অবাধ বিস্তার যাত্রীদের ঝুঁকিতে ফেলবে। বাড়বে যাতায়াত বিশৃঙ্খলা। তাই এসবের আমদানি বা বিক্রি বন্ধে কঠোর হয়ে বিকল্প নিরাপদ গণপরিবহনে সরকারকে মনযোগী হওয়ার পরামর্শ সচেতন নাগরিকদের।