কলা রুয়ে না কাটো পাত, তাতেই কাপড় তাতেই ভাত। খনার চীরন্তন এই বাণী মাথায় রেখে বগুড়ার শিবগঞ্জের অনেক কৃষকই কলার মাঠ পরিচর্যা করেন। এতে ফলনও ভালো হয়।
তবে একই জমিতে পুরনো গাছের চারায় কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া যাচ্ছে না। এতে লাভের অংক নামছে অর্ধেকে। টিস্যু কালচার কলার চারা সরবরাহ করা গেলে ফলন বাড়বে বলে দাবি চাষিদের।
এক চাষি জানান, তার ১০ থেকে ১২টি নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট না হলে তার আরো বেশি লাভ হতো। আরেকজন জানান, টিস্যু কালচার সিস্টেমে সরকার থেকে চারা সরবরাহ করা হলে আমরা অন্ততপক্ষে আরো লাভবান হতে পারবো।
জেলায় সবচে বেশি কলা আবাদ হচ্ছে শিবগঞ্জ ও গোবিন্দগঞ্জে। শিবগঞ্জের চন্ডিহারা এবং গোবিন্দগঞ্জের ফাঁসিতলা এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশেই চলে কলা বেচাকেনা।
প্রতি হাটবারে কেনা বেচা হয় ৫০ থেকে ৬০ ট্রাক কলা। পাইকার ও ব্যবসায়ীদের হাত ধরে চলে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। হাটের কোনো নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় ব্যাহত হয় বিপণন কার্যক্রম। এ নিয়ে অনেক চাষি ও কৃষক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, খাজনা দেয়া হলেও সুনির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘তফসিলযুক্ত জায়গাতেই আসলে হাট বসে। বিগত কয়েক বছর ধরে যাদের কাছে হাটের ইজারা রয়েছে, তাদের কোনো দাবি থাকলে বা কোনো সমস্যার বিষয়ে জানানো হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার বলেন, ‘সরকারি পর্যায়ে যদি টিস্যু কালচার আগানো যায় বা রোগমুক্ত চারা মাঠে দেয়া যায় তাহলে আমূল পরিবর্তন হবে।’
বগুড়া জেলায় এবার ৫ হাজার হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার টন। বগুড়ায় সাগরকলা, অনুপম,চাম্পা কলার আবাদই বেশী। বাজারে প্রতি কাদি অনুপম কলা চারশো থেকে পাঁচশো টাকায় বিক্রি হয়। হালিপ্রতি দাড়ায় ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত।