সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে ছুরিকাঘাতে তিন শিশু মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। আন্দোলন রূপ নিয়েছে বর্ণবাদী বিক্ষোভে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দেশটিতে থাকা অভিবাসীরা।
এরপরও থেমে নেই ইউরোপে আসা অভিবাসীদের ঢল। জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র, যুদ্ধ, নিরাপত্তাহীনতা, খাদ্য সংকট ইত্যাদি কারণে বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যা। উন্নত জীবনের আশায় অবৈধ পথে তারা পাড়ি জমাচ্ছেন উন্নত দেশগুলোতে।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অবৈধ অভিবাসী আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এরপরই ইউরোপের দেশগুলোর অবস্থান। গত সাত বছরের মধ্যে ইউরোপে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বড় একটি অংশ সাব-সাহারান আফ্রিকান অঞ্চলের। এছাড়া, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যসহ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলো থেকেও দলে দলে লোকজন পাড়ি জমাচ্ছেন ইইউভুক্ত দেশগুলোতে। অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের পছন্দের গন্তব্য ইতালি, জার্মানি, গ্রিস, সাইপ্রাস, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ উন্নত দেশগুলো।
ইউরোপে প্রবেশের ক্ষেত্রে অভিবাসন প্রত্যাশীরা মূলত তিনটি রুট ব্যবহার করেন। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভূমধ্যসাগরের রুট। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পর পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় পথ দিয়ে বিপুল সংখ্যক শরণার্থী গ্রিস, সাইপ্রাস ও বুলগেরিয়ায় এসেছে। পশ্চিম ভূমধ্যসাগরীয় রুটটি দিয়ে মূলত স্পেনে আসে। আর পশ্চিম বলকান রুট ইউরোপে অভিবাসনের অন্যতম পথ।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানায়, অভিবাসন প্রত্যাশীদের পছন্দের গন্তব্যে শীর্ষে আছে ইতালি। গেল সাত মাসে দেশটিতে পাড়ি জমিয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার ৭০০ অভিবাসন প্রত্যাশী। অথচ অবৈধ অভিবাসী কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুই বছর আগে ক্ষমতায় আসে ইতালির ডানপন্থি সরকার।
মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতি বছর প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। নিখোঁজদের তালিকাটাও দীর্ঘ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন নানা ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার পরও ঠেকাতে পারছে না অবৈধ অভিবাসীদের ঢল।