দেশে এখন
0

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়েছে

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে গত ১ জুলাই থেকে গতকাল (৫ আগস্ট) পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটককৃতদের মুক্তি দেয়া শুরু হয়েছে।

আজ (৬ আগস্ট) দুপুর ৩টায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পরে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তি দেয়া শুরু হয়েছে এবং এরই মধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছেন।

এদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির সংবাদ পেয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আনন্দমিছিল করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ স্ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের সাজা দেয়া হয় খালেদা জিয়াকে। পরে হাইকোর্ট তাকে ১০ বছর সাজা দেন।

এসময় তিনি পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। পরে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন।

২০২০ সালে ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর ছয় মাস করে মোট সাত দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। এসময়ের মধ্যে তিনি তার গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করেন। অনেক দিন থেকেই তিনি হাসপাতালে রয়েছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যান শেখ হাসিনা। এরপরই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিএনপি চেয়ারপারসনকে মু্ক্তির নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।

tech