সপ্তাহ খানেক আগে বগুড়া শহরের কলোনী বাজারে ২৮ জাতের চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫৪ টাকা আর কাটারী ৬৪ টাকায়। সেই চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫৮ এবং ৬৮ টাকা দরে।
একই সাথে মোটা ও হাইব্রিড জাতের চালের দাম ঠেকেছে ৫৫ টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মোকামে মিল মালিকদের কাছে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে তাই চাল বিক্রি করতে হচ্ছে বাড়তি দামেই। তাদের অভিযোগ, বেচাকেনা কমে যাওয়ায় লাভ করতে পারছেন না।
খুচরা বিক্রেতাদের একজন বলেন, ‘কয়েকদিনের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি চালের দাম ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা বেড়ে গিয়েছে।’
ধানের হাটে কাটারী, জিরা ধান প্রতিমণ বেচাকেনা হচ্ছে ১৪শ' থেকে সাড়ে ১৪শ' টাকায়। মোটা ধানের দামও বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১৩শ' টাকায়। এই দামে ধান কিনে বর্তমান দরে চাল দিলে লোকসান গুণতে হবে।
মিল মালিকদের একজন বলেন, ‘সরকার যে চালের দাম নির্ধারণ করেছে তাতে আমাদের বাধ্য হয়ে চাল দিতে হচ্ছে। এতে লোকসানের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যমতে, বগুড়ায় অটো এবং হাসকিং মিলের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। এবার এসব চাল কলগুলোয় প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।