প্রযুক্তি সংবাদ
তথ্য-প্রযুক্তি
0

যে সাতটি সমস্যায় রাউটার পরিবর্তন জরুরি

বাসা বা অফিসে বিভিন্ন কাজে ব্রডব্যান্ডের পাশাপাশি ওয়াই-ফাই সংযোগ ব্যবহার করতে হয়। মূলত একটি রাউটার ব্রডব্যান্ড সংযোগকে মোবাইলে ব্যবহারের জন্য তরঙ্গ আকারে ছড়িয়ে দিয়ে থাকে। তাই জরুরি মুহূর্তে ইন্টারনেটের গতি না থাকলে বা কাজ না করলে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়।

সব সময় যে এটা ইন্টারনেট সংযোগের কারণে হয়ে থাকে তা নয়। বাসায় বা অফিসে যে রাউটার ব্যবহার করা হচ্ছে সেটিও সমস্যার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে অনেক বছর ধরে একটি রাউটার ব্যবহার করলে সমস্যা হয়ে থাকে। প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মেক ইউজ অব সূত্রে এমন কিছু সমস্যার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। যেসব সমস্যা দেখা দিলে আপনিই নিজেই বুঝে যাবেন আপনার বাসা বা অফিসে রাউটার পরিবর্তন করতে হবে।

ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়া ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া: কোনো কারণ ছাড়াই যদি ইন্টারনেটের গতি কমে যায় এবং সংযোগ বার বার বিচ্ছিন্ন হয় তাহলে রাউটার পরিবর্তন করতে হবে। বিশেষ করে সব চেষ্টার পরও যদি সমস্যার সমাধান না হয়। ব্যবহারকারীর সংখ্যা ও নেটওয়ার্ক পরিবর্তন হলে দীর্ঘমেয়াদে রাউটারের প্রসেসিং সক্ষমতা সাপোর্ট দিতে পারবে না। তাই প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে উন্নত রাউটার ব্যবহার করলে নেটওয়ার্ক সমস্যা হবে না।

কভারেজ কমে যাওয়া ও নেটওয়ার্ক না পাওয়া: রাউটার পুরোনো হয়ে গেলে এর নেটওয়ার্ক সিগন্যাল সরবরাহের সক্ষমতাও কমতে থাকে। ফলে ক্ষেত্রবিশেষে বিভিন্ন জায়গায় নেটওয়ার্ক না পাওয়া বা ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। বড় বাসায় বা অধিক জায়গায় ওয়াই-ফাই কভারেজ পাওয়ার জন্য একাধিক অ্যান্টেনার রাউটার ব্যবহার করা উত্তম।

ইন্টারনেটের গতি না থাকা: প্রতিনিয়ত ওয়াই-ফাই প্রযুক্তিতে পরিবর্তন আসছে। ফলে পুরোনো রাউটারগুলো এসব প্রযুক্তিকে সাপোর্ট দিতে পারবে না। তাই ইন্টারনেট লাইনের প্যাকেজ পরিবর্তন করলে রাউটারও বদলাতে হবে। উদাহরণস্বরূপ রাউটার প্রতি সেকেন্ডে ১০০ মেগাবাইট গতি প্রদানে সক্ষম হলে এর বেশি গতি পাওয়া যাবে না।

ফার্মওয়্যার আপডেট বন্ধ হয়ে যাওয়া: ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতও গুরুত্বপূর্ণ। আর এদিক থেকে রাউটারের ফার্মওয়্যার আপডেট জরুরি। রাউটার যদি পুরোনো হয়ে যায়, তখন কোম্পানির পক্ষ থেকে আর কোনো ফার্মওয়্যার আপডেট দেয়া হয় না। নির্দিষ্ট সময় পর যদি রাউটারের আপডেট না আসে তখন নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়। এছাড়াও আপডেট না আসলে ডিভাইসে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়।

রাউটারের তাপামাত্রা বেড়ে যাওয়া: সাধারণ ব্যবহারে রাউটার উত্তপ্ত হয়ে থাকে। তবে কয়েক বছর ধরে ব্যবহার করা ডিভাইস থেকে অল্প সময়েই অধিক তাপ উৎপন্ন হয়ে থাকে। এ সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়ার জন্য রাউটারকে খোলামেলা জায়গায় রাখতে হবে। এছাড়াও ব্যবহারকারী বেশি হলে রাউটার গরম হয়ে যাবে। এর ফলে রাউটার বন্ধ হয়ে যাওয়া, বার বার রিস্টার্ট নেয়া ও নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়।

উন্নত ফিচার ব্যবহারের সুযোগ না থাকা: বর্তমানে সময়ের রাউটারে বিমফর্মিং, মিমো (মাল্টিপল ইনপুট ও মাল্টিপল আউটপুট) এবং মেশের মতো ফিচার রয়েছে। পুরোনো রাউটারে এসব ফিচার থাকেন। তাই আধুনিক ফিচার ব্যবহারের জন্য রাউটার পরিবর্তন আবশ্যক। এমইউ-মিমোর মাধ্যমে একাধিক ডিভাইস ডাটা পাঠানোর সুবিধা দেয়। অন্যদিকে বিমফর্মিং রাউটার সিগন্যালের সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

দশ বছরের পুরোনো রাউটার: পুরোনো রাউটার একবারে নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত সাপোর্ট দেবে। তবে এসব ডিভাইস আধুনিক প্রযুক্তির সংস্পর্শ থেকে ব্যবহারকারীকে দূরে রাখে। তাই খুব বেশি সমস্যা না থাকলে কয়েক বছর পর রাউটার পরিবর্তন করে নেয়া ভালো।

এএইচ