অন্য সব খেলা
এখন মাঠে
0

অলিম্পিকের পদক যেভাবে তৈরি হয়

অলিম্পিকের যেকোনো পদককে কাগুজে মুদ্রায় মূল্যায়ন করাটা নিছক বোকামি। কারণ পদকটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ওই খেলোয়াড়ের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং অফুরন্ত আবেগ। তবে এর মূল্য নিয়ে কৌতূহল জাগাটাও খুব অস্বাভাবিক না।

প্যারিসে অলিম্পিক গেমস এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। সোনা, রুপা ও ব্রোঞ্জ জয়ের লক্ষ্যে ক্রীড়াবিদরা নামবেন ব্যক্তিগত ও দলগত ইভেন্টে।

এবারের অলিম্পিক্সে পদকের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৪টি। যার প্রতিটিতেই থাকবে আইফেল টাওয়ারের লোহা। প্যারিস অলিম্পিক্সের পদককে স্মরণীয় করে রাখতেই এই বিশেষ উদ্যোগ। প্যারিস অলিম্পিক্সের পদক তৈরির ভার দেয়া হয়েছিল গহনা প্রস্তুতকারক সংস্থা এলভিএমএইচের শামেটকে। ১৭৮০ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৯ থেকে এটি এলভিএমএইচের অংশ।

এবারের অলিম্পিক্সের প্রতিটি পদক গোলাকৃতি হবে না। হবে ষড়ভুজের। হেক্সাগন মেডেলের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে ফ্রান্সের মানচিত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই। ফরাসি ঐতিহ্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি বড় চমক অবশ্যই পদকে আইফেল টাওয়ারের লোহার ব্যবহার।

আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন, অলিম্পিক্সের স্বর্ণ পদক কি পুরোটাই সোনা দিতে তৈরি? উত্তর- না! এটি তৈরি করা হয় রুপা দিয়ে। তাতে সোনা থাকে ৬ গ্রাম। ফলে সোনা জিতলেও গোল্ড প্লেটেড সিলভার মেডেলই পান ক্রীড়াবিদরা। তবে রুপা ও ব্রোঞ্জ ব্যবহার করা হয় সেই পদকগুলোতে। প্যারিস অলিম্পিক্সের পদকগুলির ব্যাস থাকছে ৮৫ মিলিমিটার, পদকগুলি হবে ৯.২ মিলিমিটার পুরু। স্বর্ণ পদকের ওজন ৫২৯ গ্রাম, রুপা ৫২৫ গ্রাম ও ব্রোঞ্জের ওজন ৪৫৫ গ্রাম।

অলিম্পিকের পদকের আছে দুটি মজাদার ইতিহাস। পুরো সোনা দিয়ে অলিম্পিক্সের স্বর্ণপদক শেষবার দেয়া হয়েছিল ১৯১২ সালের স্টকহোম গেমসে। তারপর থেকেই স্বর্ণপদক হচ্ছে গোল্ড প্লেটেড সিলভার মেডেল। ১৮৯৬ সালের অলিম্পিক্সে যারা চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম পুরস্কার পেয়েছিলেন, তাদের সোনার পদক দেয়া হয়নি। তার কারণ, তখন স্বর্ণের দাম রুপার চেয়ে কম ছিল। তাই রুপার পদকই পেয়েছিলেন প্রথম স্থান অধিকারীরা।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর