অন্য সব খেলা
এখন মাঠে
0

এক সপ্তাহে তারুণ্য ফিরেছিল নব্বইয়ের দশকে

জীবন যান্ত্রিক হয়েছে অনেক আগেই। বিশেষ করে মুঠোফোন কেড়ে নিচ্ছে প্রতিদিনের অনেক সময়। তবে, দেশে চলমান কারফিউ, সেই অবস্থা থেকে কিছুটা পরিত্রাণ দিয়েছে। লুডো, ক্যারাম, দাবা খেলায় মজেছেন পাড়া মহল্লার ছেলে-বুড়ো অনেকেই । চাহিদা বাড়ায় দোকানিরাও হয়েছেন দারুণ খুশি। নগরীও ফিরে পেয়েছিল তার হারানো দিনগুলো।

ঢাকার এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন শুভ্র। দেশে কারফিউ ইন্টারনেটবিহীন সময় কাটিয়েছেন বন্ধুদের সাথে ছাদে-রাস্তায় ক্রিকেট খেলে। পাশাপাশি সময় কাটিয়েছেন পরিবারের সাথে লুডো খেলে। তবে এলাকার দোকানগুলোতে টেনিস বল- টেপের সংকটে কারফিউ শিথিলের সুযোগে গুলিস্তান থেকে টেপ নিয়ে আসেন।

শুভ্র বলেন, 'ক্রিকেট খেলার জন্য বল নিতে আসছি মার্কেটে। এলাকায় বলের দাম বাড়তি। বাসার পাশে প্রতিটি বল ৫০ টাকা করে রাখছে। এতো টাকা দিয়ে বল কেনা সম্ভব না। সেজন্য এখানে এসেছি।'

প্রায় এক সপ্তাহ পরে দোকান খোলায় ক্রেতা সংখ্যা এখনও আশানুরূপ নয়। তবে যারাই আসছেন তারাই লুডো, দাবা, ক্যারাম কিংবা টেনিস বল -টেপ খুঁজছেন।

একজন বিক্রেতা বলেন, 'বর্তমানে টেনিস বল, লুডো, দাবার চাহিদা বেশি। বাচ্চারা নেট বন্ধ হওয়ার এখন স্পোর্টসের জিনিসের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছে।'

ইন্টারনেট অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটির অবর্তমানে পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধবের সাথে যেন কৈশরে ফিরে গিয়েছে ৯০ দশকের যুবকরাও।

দেশে চলমান অস্থিতিশীলতায় ক্ষতির মুখে পরেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এরপরও তারা ভাবেন সাধারণ মানুষের জান মালের ক্ষতি কারোই কাম্য নয়।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদগুলো যেভাবে নষ্ট হলো এগুলো আমাদের কারও কাম্য নয়। সবকিছু বন্ধ থাকায় আমাদের ব্যবসা বেড়েছে কিন্তু এই সম্পদগুলো নষ্ট করা একদমই উচিত হয়নি।'

নাগরিক ব্যস্ততা আর অতি মাত্রায় সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভরতা মানুষকে নিয়ে গিয়েছে চিত্তবিনোদনের বাস্তবমুখী ধারা থেকে অনেক দূরে। তবে, এমন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি যেন ফিরিয়ে নিয়ে যায় গিয়েছিল দুই দশক আগের সময়ে।

এসএস