হঠাৎ করেই অস্থির কাঁচামরিচের বাজার। ছোট্ট এই ঝাল জাতীয় পণ্য কিনতে ঘাম ঝরার উপক্রম ক্রেতার। তাই দাম শুনেই ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন অনেক ক্রেতা।
স্বাভাবিক সময়ে মেহেরপুরে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও একমাসের বেশি সময় ধরে দাম আরও বাড়তে থাকে। ধাপে ধাপে দাম বেড়ে কয়েকদিন ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় মরিচ। তবে বর্তমানে খুচরা বাজারে মরিচ কিনতে ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে ৪শ’ টাকা পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতিরিক্ত খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে এবছর এখন পর্যন্ত স্থানীয় কাঁচামরিচ বাজারে আসেনি। যাতে চড়া দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। তবে মরিচের অস্বাভাবিক দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। অস্বাভাবিক দামের পেছনে ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দায়ী করছেন তারা।
মেহেরপুরের ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, 'আমাদের স্থানীয় কাঁচামরিচ বাজারে এখনো আসেনি যার ফলে কাঁচামরিচের দাম এত বেশি।'
একই অবস্থা রাজশাহীর কাঁচা বাজারেও। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ প্রায় দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩২০ টাকা পর্যন্ত। কয়েকদিন আগেও যা বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গেল কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নীচু জমিতে পানি জমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উৎপাদন। আষাঢ়ের এই বৃষ্টি উঁচু জমির জন্য আশীর্বাদ হলেও নীচু জমিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। যাতে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের।
এদিকে মানিকগঞ্জেও লাগামহীন মরিচের বাজার। একমাস ধরে উঠানামা করছে দাম। এক সপ্তাহে আগে ১৯০ টাকায় বিক্রি হয় মরিচ। এরপর দাম পৌঁছায় ৪শ' টাকা পর্যন্ত। যাতে হিমশিম অবস্থা ক্রেতাদের। তাপপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড় রিমাল ও বন্যায় গাছ মরে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে দাম বাড়তি বলছেন বিক্রেতারা। দেশীয় মরিচ সরবরাহ কম থাকায় ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে মরিচ।
অবস্থার ভিন্নতা নেই খুলনায়ও। প্রতি কেজি মরিচ কিনতে ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে ৩শ' টাকার বেশি। গত এক সপ্তাহ আগে যে মরিচ বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে দেড়শ টাকায়। সঠিক তদারকির অভাবে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন বলছেন সাধারণ ক্রেতারা।
ক্রেতারা বলছেন, খরা কিংবা বন্যা যাই হোক নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে হু হু করে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের নজরদারি সব থেকে জরুরি বলছেন তারা।