স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আন্তঃসীমান্ত নদী ইছামতির ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের সোলপুর বিওপি ও শ্মশান ঘাটের মাঝামাঝি স্থানে প্রায় ১৫০ গজজুড়ে বেড়িবাঁধে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর কূলে ২ থেকে ৩ ফুট দেবে যাওয়ায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) থেকে এই ভাঙন দেখা দেয়। যা শনিবার (১৩ জুলাই) বড় আকার ধারণ করে। এতে আতঙ্ক নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হোসেন নাঈম বলেন, 'ভাঙনের বিষয়টি ওয়াপদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা বিষয়টি আমলে নেননি। একারণেই আজ বিপজ্জনক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যেকোনো সময়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের সুইলপুর, ব্রজপাটুলী, সাদবসু, বাগমারী, কামদেব পুরসহ বিভিন্ন গ্রামের বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শতশত ঘরবাড়ি, হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা।'
এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শুভেন্দু বিশ্বাসসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময়ে পাউবো কর্মচারীরা ভাঙনকবলিত স্থান মাটি দিয়ে ঢেকে তার উপর গাছের ডালপালা দিয়ে দেন। এ যেন গর্তে ইঁদুর রেখে মুখ বন্ধ করার মত অবস্থা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বরত উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, 'এটা তেমন কিছু না, তাছাড়া আমাদের নিকট জিও ব্যাগ পর্যাপ্ত থাকলেও বালি না থাকায় কাজ করতে পারছি না। তবে আমরা চেষ্টা করছি। দ্রুত বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হবে।'