শিল্প-কারখানা
অর্থনীতি
0

নাটোরের মোকামে লবণযুক্ত চামড়া আসতে শুরু করেছে

লবণযুক্ত চামড়া আসতে শুরু করেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চামড়ার মোকাম নাটোরের চকবৈদ্যনাথের আড়তগুলোতে। আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা গরুর পাশাপাশি ছাগলের চামড়া নিয়ে আসছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। গরু ১ হাজার থেকে ১৩০০ টাকা পিস এবং ছাগলের চামড়া ৮০ থেকে ১২৫ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।

মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কেউ ট্রাক ভর্তি করে, কেউ বা ছোট ছোট যানবাহনে করে বিভিন্ন জেলা থেকে লবণযুক্ত চামড়া এনেছেন নাটোরের চকবৈদ্যনাথের আড়তগুলোতে।

ব্যবসায়ীরা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, কুষ্টিয়াসহ ৮ থেকে ১০টি জেলার লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া আড়তে প্রবেশ করেছে।

এক ব্যবসায়ী বলেন, 'প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার গরুর চামড়া আমদানি হচ্ছে। চামড়া যখন নির্বাচন করা হবে, তখন এর মানের উপরে দামটা নির্ভর করবে।'

এদিকে হাটের প্রথম দিনে লবণযুক্ত গরু ও ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে ভালো দামে। কাঁচা চামড়ার চেয়ে বেড়েছে লবণযুক্ত চামড়ার দাম।

এবারের ঈদে ছাগলের চামড়া সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকায় কিনেন নাটোরের ব্যবসায়ীরা। এখন সেই চামড়াই তারা বিক্রি করছেন দ্বিগুণ দামে। এতে ন্যায্যদাম থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এতিমখানা ও মাদ্রাসাগুলো।

প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের পাশাপাশি বেশ কিছু ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনছেন।

জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি গ্রুপের সদস্য লুৎফর রহমান লাল্টু বলেন, '৩৫ জেলা থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ গরুর চামড়া আমদানি হবে। আড়াই লাখ পিস খাসির চমড়াও আমদানি হবে। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকেও খরিতদাররা আসা শুরু হয়েছে।'

এবার ঈদের একদিনে ৪০ থেকে ৫০ হাজার পিস গরুর কাঁচা চামড়া এবং ২০ থেকে ২৫ হাজার পিস খাসির কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে নাটোরের ব্যবসায়ীরা। তবে পুরো মৌসুমজুড়ে সাড়ে ৬ থেকে ৭ লাখ পিস গরু এবং ৪ থেকে ৫ লাখ পিস ছাগলের চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ব্যবসায়ীরা।